চিড়িয়াখানায় একদিনেই ৩০ লাখ টাকার টিকিট বিক্রি
ঈদের দ্বিতীয় দিনে মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানায় তিল ধারণের ঠাঁই নেই। সকাল ৮টা থেকেই বিনোদনপ্রেমীরা পরিবার, বন্ধু-বান্ধব নিয়ে ছুটে আসেন। এদিনে প্রায় এক লাখ দর্শনার্থীর আগমন ঘটে। ঈদের দিন ৭০ হাজার দর্শনার্থী এসেছিল। প্রবেশ মূল্য মাথাপিছু ৩০ টাকা হিসাবে ৩০ লাখ টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।
রোববার সরেজমিনে দেখা যায়, ঈদ আনন্দে বিনোদনপ্রেমীরা সকাল থেকেই চিড়িয়াখানায় প্রবেশ করেন। অতিরিক্ত মানুষের চাপে চিড়িয়াখানার প্রধান সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়। সনি সিনেমা হলের সামনের রাস্তার পরেই মূলত এ যানজট। মানুষের ভিড়ে ফুটপাত দিয়েও হাঁটাচলার সুযোগ নেই।
জনমানুষের হাঁটাচলার সুযোগ না থাকলেও ফুটপাতের উপরেই বসেছে হকাররা। তার উপরে চিড়িয়াখানায় প্রবেশের পথে গাড়ি পার্কিং। ফলে বিনোদনপ্রেমীদের ভোগান্তি পড়েন। জীবন যুদ্ধ আর বিরক্ত নিয়েই চিড়িয়াখানায় ঢুকতে হয় দর্শনার্থীদের। প্রায় এক লাখ মানুষ এদিন চিড়িয়াখানায় বেড়াতে আসেন বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।
চিড়িয়াখানার ভিতরে দেখা যায়, সব বয়সী মানুষ বেড়াতে আসেন। তবে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের আগমন বেশি। তারা কম খরচে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘুরতে আসেন। মানুষের বাড়তি চাপে কারও টাকা, মোবাইল, আইডিকার্ডসহ প্রয়োজনীয় বিভিন্ন জিনিস চুরি হয়েছে বলে কেউ কেউ অভিযোগ করেন।
জাতীয় চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. এম এম নজরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ঈদের দিন প্রত্যাশার চাইতেও বেশি দর্শনার্থী হয়েছে। ওইদিন প্রায় ৭০ হাজার দর্শনার্থীর এসেছিল। আজও প্রায় এক লাখ দর্শনার্থীর আসেন চিড়িয়াখানায়। এদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত প্রায় ৩০ লাখ টাকার টিকিট বিক্রি হয়।
তিনি আরও বলেন, বাড়তি মানুষের চাপ সৃষ্টি হলে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে থাকে। গরমের মধ্যে এ চাপ প্রাণীর ওপরও বাড়তি চাপ সৃষ্টি হয়। এ কারণে আমরা অতিরিক্ত ভিটামিন ও নানা পরিচর্যার ব্যবস্থা নিই। আগামীকালও প্রায় ৮০ হাজার দর্শনার্থীর আগমন হতে পারে বলে জানান তিনি।
এমএইচএম/জেএইচ/পিআর