সদা কলরবে ব্যস্ত কারওয়ান বাজার এখন সুনসান নীরবতা

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৩:২৪ পিএম, ১৭ জুন ২০১৮

‘তোরে পুতুলের মতো করে সাজিয়ে হৃদয়ের কোটরিতে রাখব, আর হৃদয়ের চোখ মেলে তাকিয়ে সারাটি জীবন ভরে দেখব, আমি নেই.. নেই.. নেইরে.. যেন তোরি মাঝে হারিয়ে গেছি।’ রাজধানীর কারওয়ান বাজার ক্ষুদ্র কাঁচামাল আড়ৎ ব্যবসায়ীদের বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেড মার্কেটের ভেতরে চেয়ারে বসে গলা ছেড়ে জনপ্রিয় এ গানটি গাইছিলেন এক যুবক। পাশেই টেবিলে টোকা দিয়ে তবলা বাজাচ্ছিলেন আরেক যুবক। গামছা লুঙ্গি পরিহিত আরও দুই যুবক মুগ্ধ হয়ে গানটি শুনছিলেন।

bazer1

রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায় কারওয়ান বাজার আড়তে এমন দৃশ্য দেখা যায়। যে আড়ৎটি ২৪ ঘণ্টা শত শত মানুষের কলকাকলিতে মুখরিত থাকে ঈদের ছুটির কারণে সেখানে যেন জনমানব শূণ্য সুনশান নীরবতা।

bazer1

সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, পুরো কারওয়ান বাজার সুনশান নিরবতা। পাইকারি বিভিন্ন দোকানের সামনে চাল কুমড়া, টমেটো, চিচিঙ্গা, পেঁপে, শশা, বেগুন, পটল, করল্লা, ঢেড়শ, ধনেপাতার স্তুপ পড়ে আছে। কিন্তু ক্রেতা নেই বললেই চলে। প্রতিটি আড়ৎ দোকানের সামনে টুকড়ি, বস্তা পড়ে আছে। কোনো কোনো দোকানের সামনে মধ্য দুপুরেও সটান হয়ে দোকানিরা ঘুমাচ্ছেন।

হোটেল সোনারগাঁওয়ের বিপরীত দিকে পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতর কার্যালয়ের সোজা রাস্তাটির দু'পাশে অন্যান্য সময়ে শত শত গাড়ির লাইন থাকলেও আজ কোনো গাড়িই নেই। ফুটপাতে দু-একজন ডাবওয়ালা ও আম বিক্রেতা ছাড়া অন্য কোনো ফল বিক্রেতাও নেই। মুরগীর আড়তের দোকানিকে মোবাইলে গান শুনে সময় কাটাতে দেখা যায়।

bazer1

সালাম নামের এক আড়তদার বলেন, দুই ঈদের সময় কারওয়ান বাজারের অধিকাংশ ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা তিনদিনের জন্য গ্রামের বাড়িতে যায়। এ কারণে এ সময় মার্কেট ফাঁকা থাকে। আগামীকাল (সোমবার) থেকেই আবার সরব হবে।

bazer1

রাজধানীর কলাবাগানের বাসিন্দা আবদুস সালাম নামের এক ভদ্রলোক কারওয়ান বাজার থেকে আম কিনছিলেন। তিনি জানান, রাজধানীর অন্যান্য বাজারে হিমসাগর ও ল্যাংড়া আম প্রতি কেজি ৭০/৮০ টাকা দামে বিক্রি হলেও ঈদে ক্রেতা কম থাকায় ৫০ টাকা কেজি দরে আম কিনেছি। এ কারণে তিনি খুব খুশিও বলে জানান।

এমইউ/আরএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।