প্রস্তুত জাতীয় ঈদগাহ

মুহাম্মদ ফজলুল হক
মুহাম্মদ ফজলুল হক মুহাম্মদ ফজলুল হক , জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:৩৬ পিএম, ১৫ জুন ২০১৮

ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায়ের জন্য জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ। সেখানে শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের প্রধান জামাত হবে। এতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, ভিভিআইপি (বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) ও ভিআইপিরা (গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) অংশ নেবেন। এ ছাড়া নারী-পুরুষ মিলে লক্ষাধিক মুসল্লি সেখানে একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন।

আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ব্যবস্থাপনায় মাঠের আশপাশে কদম ফোয়ারা, গণপূর্তভবন, প্রেস ক্লাবের ও শিক্ষা ভবনের সামনের রাস্তায়ও মুসল্লিরা জামাতে অংশ নিতে পারবেন।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মাঠের সাজসজ্জার কাজ করা হয়। ১২ জুন বুধবার সকালে ভিআইপি টয়লেট স্থাপন করা হয় মাঠের পশ্চিম পাশে ইমামের মেহরাবের পেছনে। এ ছাড়া ওয়াসার পক্ষ থেকে সাধারণ মসল্লিদের জন্য টয়লেট ও পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার লাগানো হয় ছয় শতাধিক লাইট, সাত শতাধিক ফ্যান ও ৮০টির মতো মাইক। সর্বশেষ শুক্রবার মাঠে জায়নামাজ বিছানো হয়। ইমামের মিম্বরে মাইক্রোফোন লাগিয়ে তা নিরীক্ষা করেছেন কর্তৃপক্ষ। তিন স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনীসহ বজ্রনিরোধক যন্ত্র এবং মাঠের চতর্দিকে ৮৪টি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়ে তা ছয়টি মনিটরে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

শুক্রবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, জাতীয় ঈদগাহ মাঠে তৈরি করা প্যান্ডেলের নিচে জায়নামাজ বিছানো হচ্ছে। প্রথমে ইমামের মেহেরাবের সঙ্গে ভিভিআইপি (বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি), ভিআইপি (গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) এবং সাধারণের জন্য আলাদাভাবে নামাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বৃষ্টির আশঙ্কা থেকে বৃষ্টিপ্রতিরোধক ত্রিপল লাগানো হয়েছে। মাঠের পূর্বপাশে অজুর জন্য (নারী ও পুরুষের) আলাদা ব্যবস্থা রয়েছে। নারীদের জন্য ৫০টি এবং পুরুষের জন্য ওযুখানা রয়েছে ১৫০টি।

এই ওযুখানা ও টয়লেট পর্যাপ্ত নয় বলে অনেকে অভিযোগ করেছেন। এমন অভিযোগের বিষয়ে ডিএসসিসির মেয়র মো. সাঈদ খোকন জাগো নিউজকে বলেন, জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে নারী-পুরুষ মিলে লক্ষাধিক মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। আমরা সেজন্য আলাদা আলাদা ওযুর ব্যবস্থা করে রেখেছি।

তিনি জানান, ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে। আবহাওয়া যদি প্রতিকূল থাকে সে ক্ষেত্রে বিকল্প হিসেবে সকাল ৯ টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকররমে প্রধান জামাত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

ডিএসসিসি সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় ঈদগাহে ৫ হাজার নারীর নামাজের জন্য পর্দা দিয়ে আলাদা ব্যবস্থা রয়েছে। মাঠে প্রবেশ করার জন্য নারীদের জন্য আলাদা গেট থাকবে।

মাঠ সজ্জার কাজ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মিরাজ সরদার অ্যান্ড সন্স। প্রতিষ্ঠানটির মালিক মো. মোজাম্মেল হক জাগো নিউজকে বলেন, ২০ দিন ধরে ঈদগাহ মাঠে গড়ে প্রায় ১২০ জন শ্রমিক কাজ করেন। দুই লাখ ৭০ হাজার ২৭৭ বর্গফুট এলাকা বৃষ্টি প্রতিরোধক ত্রিপল টানানো হয়েছে। ৭০০টি সিলিং ও ১০০টির মতো পেডেস্টাল ফ্যান রয়েছে। বাতি প্রায় ৬০০টি।

এফএইচ/জেডএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।