ঈদ জামাতকে কেন্দ্র করে কোনো হুমকি নেই : ডিএমপি কমিশনার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:১২ পিএম, ১৪ জুন ২০১৮
ছবি-ফাইল

রাজধানীর সকল ঈদ জামাতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দিতে ডিএমপি শতভাগ কমিটেট (প্রতিজ্ঞাবদ্ধ) বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। একই সঙ্গে ঈদ জামাতকে কেন্দ্র করে সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি নেই বলেও জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় ঈদগাহ মাঠের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

নিরাপত্তার স্বার্থে ঈদগাহ ময়দানে মুসল্লিরা জায়নামাজ ও ছাতা ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘কয়েকটি পয়েন্টে দুই দফা তল্লাশি শেষে মুসল্লিদের ঈদগাহ ময়দানে প্রবেশ করতে হবে। কেউ কোনো ধরনের ব্যাগ, ছুরি, মোবাইল বা দাহ্য পদার্থ নিয়ে ঈদগাহে প্রবেশ করতে পারবেন না। পুলিশ চাইলে মুসল্লিদের জায়নামাজ ও ছাতা খুলে দেখাতে হবে।’ এ ক্ষেত্রে সবাইকে সহযোগিতা করার আহ্বানও জানান তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঈদে নিরাপত্তায় সুস্পষ্ট কোনো হুমকি নেই। তারপরও ২০১৬ সালে শোলাকিয়া ময়দানে হামলাচেষ্টা ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে।

কেবল জাতীয় ঈদগাহ নয়, ঈদকে ঘিরে গোটা নগরের মসজিদগুলোতে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান আছাদুজ্জামান মিয়া। তিনি বলেন, ঈদ উপলক্ষে নগরজুড়ে সমন্বিতভাবে নিরবচ্ছিন্ন ও কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় ঈদগাহ, বায়তুল মোকাররম মসজিদসহ বিভিন্ন মসজিদের ঈদ জামাত ঘিরে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে।

জাতীয় ঈদগাহের পুরো এলাকা সিসি টিভির আওতায় থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, চারদিকে ব্যারিকেড দিয়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলা হবে। জামাতে আসার সময় মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশির পর মুসল্লিদের আর্চওয়ের ভেতর দিয়ে ঢুকতে হবে। মূল গেট দিয়ে প্রবেশের সময় তাদেরকে আবারও তল্লাশির মধ্য দিয়ে যেতে হবে।

ডিএমপি কমিশনার জানান, সোয়াট, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড প্রস্তুত থাকবে। পুলিশের বিশেষায়িত সবগুলো শাখার কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক কাজ করবেন এবং সিসি টিভির মাধ্যমে পুরো এলাকায় সার্বক্ষণিক নজরদারিতে থাকবে।

এবার ঈদ জামাতে দায়িত্ব পালনরত পুলিশ সদস্যদের মুসল্লিদের সাথে নামাজ আদায় করতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। তাদের জন্য বেলা ১১টায় রাজারবাগে আলাদা ঈদের জামাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানানো হয়।

ঈদে বিপুলসংখ্যক মানুষ ঢাকা ছাড়বেন। সে ক্ষেত্রে ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তায় অফিস ও শপিং মলগুলোতে বাড়তি নজরদারি থাকবে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি জানান, বিভিন্ন এলাকায় চেকপোস্টগুলোতে তল্লাশি বাড়ানো হবে এবং এলাকাভিত্তিক নিরাপত্তাকর্মীদের সমন্বয়ে পুলিশ নিরাপত্তা দেবে। এ ছাড়া ঈদের আনন্দ নির্বিঘ্ন করতে রাজধানীর পার্ক ও বিনোদন কেন্দ্রগুলোতেও বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হবে। সার্বক্ষণিক নজরদারিতে থাকবে এসব এলাকা।

এফএইচ/আরএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।