ফ্রান্সের দাবি প্রত্যাখ্যান গুগলের


প্রকাশিত: ০৪:৩৭ এএম, ০৩ আগস্ট ২০১৫

বিশ্বব্যাপী ফ্রান্সের ‘রাইট টু বি ফরগটেন’ নীতিমালা বাস্তবায়নের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে গুগল কর্তৃপক্ষ। এর আগে, মার্কিন অনুসন্ধান সেবাদাতা গুগল সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের ব্যবহারকারীদের অনুরোধে অসংখ্য তথ্য ও পোস্ট মুছে দিয়েছে। সম্প্রতি শুধু ইউরোপেই নয়, বিশ্বব্যাপী এ নীতিমালা বাস্তবায়নের নির্দেশ দেয়া হলে গুগল সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ফ্রান্সের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মানবে না প্রতিষ্ঠানটি। খবর রয়টার্স ও এএফপি।

২০১৪ সালের মে মাসে রাইট টু বি ফরগটেন নীতিমালা প্রণয়ন করে ইউরোপীয় কোর্ট অব জাস্টিস (ইসিজে); যার মাধ্যমে ব্যক্তিগত তথ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ লিংক বা পোস্ট অনুসন্ধান ফলাফল থেকে মুছে ফেলার জন্য সংশ্লিষ্ট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানকে অনুরোধ করতে পারবেন সাধারণ ব্যবহারকারীরা। একই সময় বৈশ্বিকভাবে এ নীতিমালা বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নেয় ইসিজে।

এরই ধারাবাহিকতায় ফ্রান্সের ডাটা প্রটেকশন কর্তৃপক্ষ সিএনআইএল চলতি বছরের জুনে শীর্ষ অনুসন্ধান সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানটিকে এক নির্দেশনায় জানিয়েছিল, গুগল ডটকমসহ সব ধরনের ওয়েবসাইট থেকে ব্যক্তিগত তথ্য ও পোস্ট মুছে দেয়ার অধিকার বিশ্বের সব ব্যবহারকারীরই আছে। পর্যালোচনা শেষে সম্প্রতি ওই নির্দেশনার বিষয়ে সাড়া দিয়েছে গুগল কর্তৃপক্ষ। কোনো প্রকার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন না করে সরাসরি সিএনআইএলের আদেশ প্রত্যাখ্যান করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

গুগলের বৈশ্বিক প্রাইভেসি বিষয়ক আইন উপদেষ্টা পিটার ফ্লিশার বলেন, ‘ইউরোপের জন্য রাইট টু বি ফরগটেন আইন হিসেবে স্বীকৃত হলেও বিশ্বব্যাপী নয়। আর তাই নৈতিক দিক বিবেচনায় আমরা সম্মানের সঙ্গেই সিএনআইএলের সিদ্ধান্তে অসম্মতি জানিয়েছি।’

এছাড়া তিনি আরো বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, কোন একটি দেশের ডাটা প্রটেক্টশন কর্তৃপক্ষ অন্য কোনো দেশের ব্যবহারকারীর তথ্য নিরাপত্তার বিষয় নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।

গুগলের বিবৃতি অনুযায়ী, ইসিজের নতুন আইন কার্যকরের পর এ পর্যন্ত ১০ লাখের বেশি অনুরোধ পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ওই অনুরোধগুলোর ভিত্তিতে এক প্রান্তিকেরও বেশি সময় ধরে পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন শেষে ১০ লাখের বেশি ওয়েব পেজ থেকে সামঞ্জস্যপূর্ণ লিংক ও পোস্ট মুছে দিয়েছে গুগল।

এসকেডি/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।