বাজেটে পরিবেশ বিপর্যয় মোকাবেলায় গুরুত্বারোপ করা হয়নি
দেশের পরিবেশ বিভিন্ন কারণে হুমকির সম্মুখীন। কিন্তু এবারের বাজেটে এ ধরনের পরিবেশ বিপর্যয় মোকাবেলায় পর্যাপ্ত বরাদ্দ ও গুরুত্বারোপ করা হয়নি। তাই বাজেটে স্থায়িত্বশীল উন্নয়নে পরিবেশ-প্রতিবেশকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে।
সোমবার পবা কার্যালয়ে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)-র উদ্যোগে ‘প্রস্তাবিত বাজেট পর্যালোচনা, পরিবেশ সম্মত উন্নয়নে বাজেট ও ব্যবস্থাপনা’- শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে পরিবেশবাদীরা অভিযোগ করেন। পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)-র চেয়ারম্যান আবু নাসের খান-এর সভাপতিত্বে এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনায় গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য রাখেন, পবা’র সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. লেলিন চৌধুরী, বাংলাদেশ নিরাপদ পানি আন্দোলন-এর চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন, নারী মৈত্রীর শিরিন আক্তার, বাংলাদেশ যুব সমিতির সভাপতি মো. আকতার হোসেন, পুষ্পসাহা পুকুর রক্ষা কমিটির সভাপতি নাসির খান মিন্টু, ডাব্লিউবিবি-ট্রাস্ট এর সৈয়দ সাইফুল আলম, ট্যালেন্ট প্রমোশন ইনিসিয়েটিভ-এর প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল মান্নান, পবা’র সদস্য, অ্যাডভোকেট. এলিজা রহমান, শাকিলা শফিক, কায়সার আহমেদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, পরিবেশ ও প্রতিবেশ সুরক্ষা শুধুমাত্র পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের ওপর নির্ভর করে না। পরিবেশ ও প্রতিবেশ সুরক্ষা সংশ্লিষ্ট উন্নয়ন প্রকল্পের অধিকাংশই নির্ভর করে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে জড়িত সব মন্ত্রণালয় ও সংস্থার কার্যক্রমের ওপর। প্রচলিত প্রথায় প্রকল্প প্রণয়নের ছকে পরিবেশ বিষয়টি বিবেচনায় থাকলেও যথাযথভাবে সম্পন্ন করা হয় না। তাছাড়া প্রকল্প প্রণয়নকালে পরিবেশ সংরক্ষণের সুনির্দিষ্ট সুপারিশ থাকলেও প্রকল্প বাস্তবায়নে অধিকাংশ ক্ষেত্রে সুপারিশগুলো উপেক্ষিত থাকে।
পরিবেশ দূষণ এবং তার প্রেক্ষিতে সমস্যা বর্তমান সময়ে সবারই একটি দু:শ্চিন্তার বিষয়। তবে শুধুমাত্র আইন বা প্রশাসনিক ব্যবস্থার মাধ্যমে পরিবেশ দূষণরোধ করা সম্ভব নয়। উন্নয়ন কাজের সঙ্গে দূষণে একটি নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বরাদ্দ ১১১৯ কোটি টাকা এবং সংশোধিত বরাদ্দ ৮৯১ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বরাদ্দ ১২৬৯ কোটি টাকা।
পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়, পরিবেশ অধিদফতর, বন অধিদফতরসহ মন্ত্রণালয়ের অধীন অন্যান্য সংস্থার সম্মিলিত বরাদ্দ ১২৬৯ কোটি টাকা। পরিবেশ ব্যবস্থাপনা-জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় এ বরাদ্দ অপ্রতুল।
এফএইচএস/এমআরএম/এমএস