পছন্দের পাদুকার জন্য ছোটাছুটি
* ছেলেদের আকর্ষণের শীর্ষে লোফার-কনভারর্স
* মেয়েদের কমন, সবাই ম্যাচিংয়ে বিশ্বাসী
* দোকানগুলোতে রয়েছে দেয়ালজুড়ে জুতা
মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের বড় উৎসব ঈদ। ঈদ আসতে আর কয়দিন মাত্র বাকি। ঈদের আনন্দকে মন মাতানো করতে সবাই সাধ্যমতো নতুন জামা কাপড় কিনে থাকেন। আর সব কেনাকাটা শেষে পছন্দের পাদুকা বা জুতার দোকানের দিকে যান সবাই। তরুণরা হাল ফ্যাশনের জুতা আর তরুণীরা ব্যস্ত ম্যাচিংয়ে। ঈদকে সামনে রেখে এজন্য এক দোকান থেকে আরেক দোকানে সবাই ছোটাছুটিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
ক্রেতারা বলছেন, ঈদ মানেই নতুন জুতা। পোশাক যেমনই হোক নতুন জুতা না হলে চলেই না। ঈদের সময় ঘনিয়ে আসাতে সবাই ব্যস্ত পছন্দের জুতা জোড়া কিনে নিতে।
বিক্রেতারা বলছেন, মেয়েদের জুতায় হাল ফ্যাশন বলে কিছু নেই। যে যার রুচি অনুসারে নিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু ছেলেদের জন্য এবার রয়েছে লোফার ও কনভার্স। তরুণরা হুমড়ি খেয়ে পড়েছে এই দুই মডেলের জুতা কেনায়। বিক্রিও হচ্ছে বেশ।
মিরপুর ১১ নম্বরের নানু সুপার মার্কেটের পাশে পাওয়া যায় দেশি কারিগরদের বানানো জুতা। এখানে অনেক কম দামে টেকশই জুতা পাওয়া যায় বলে জানান ক্রেতারা।
আনিসুর রহমান জানান, এখানে স্যান্ডেল, লোফার ও ভালো মডেলের জুতা পাওয়া যায়। দাম স্বাধ্যের মধ্যেই। তবে বেশ টেকসই।
অনিক শো ফ্যাশনের মালিক মুখলেসুর রহমান অনিক জানান, এখানে স্যান্ডেল পাওয়া যায় ৬৫০ টাকা থেকে ১০০০ টাকায়। লোফার্স পাওয়া যায় ৯০০ টাকা থেকে ১৮০০ টাকায়। এছাড়া মেয়েদের রং-বেরংয়ের জুতা রয়েছে। এখানকার জুতার মূল বৈশিষ্ট টেকসই ও কম দাম। তাই অনেক দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন চলে আসে বলে তিনি জানান।
জুতার জন্য বিখ্যাত রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে ব্যাপক ভিড়। এতদিন বসে থাকলেও এখন বিক্রি একচেটিয়া। রোববার রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে গিয়ে দেয়া যায়, এ সড়কের দু'পাশে রয়েছে প্রচুর দেশি-বিদেশি জুতার দোকান। রয়েছে স্থানীয়ভাবে উৎপাদনকৃত লোকাল জুতার মার্কেট। সব দোকানেই রয়েছে ক্রেতাদের ভিড়। ইন্টান্যাশনাল ব্র্যান্ড লোটো নিয়ে এসেছে বাহারি জুতার মডেল।
এই দোকানের ম্যানেজার সুমন জানান, এবার তরুণ প্রজন্মে সবাই ঝুঁকেছে লোফার আর কনভার্সে। এর বাইরে বৃষ্টির কারণে কেডসও ভালো চলছে। লোটো জুতায় ৪ মাসের গ্যারেন্টি রয়েছে। এসব জুতার দামও রিজেনেবল। এর মধ্যে কেডস পাওয়া যাবে ৩২৯০-৪৯৯০ টাকায়। লোফার পাওয়া যাবে ১৪৯০-২৭৯০ টাকায়।
এছাড়া রয়েছে স্লিপার। দাম পড়বে ১৪৯০ টাকা। বিভিন্ন মডেলের স্যান্ডেলের সমাহার রয়েছে। দাম পড়বে ১৬৯০-১৯৯০ টাকা। দেশি ব্র্যান্ডের দোকান জিলস এনেছে সব মজবুত ও ফ্যাশেনেবল জুতা।
দোকানের সেলসম্যান সজিব বলেন, লেডিসদের জন্য আমাদের দোকানে নানা রকম জুতা এসেছে। এর মধ্যে স্লিপার, হাই হিল, পাম্প শো প্রভৃতি। এসব জুতার দাম পড়বে ১৫৯০ টাকা থেকে ১৮৯০ টাকায়।
এর বাইরে ছেলেদের লোফারের দাম পড়বে ১৫শ থেকে ১৬শ টাকা। আরেক দোকান লিবার্টিতে গিয়ে দেখা যায়, দোকানটিতে মানুষের প্রচুর ভিড়। সব ধরনের মানুষের আনাগোনা। দোকানের সেলসম্যান দিপু জানান, লিবার্টি জুতা খুবই আকর্ষণীয় । এসব জুতার দাম পড়বে ২০৯০ টাকা থেকে ১৪৯০ টাকা।
তিনি জানান, মেয়েদের জুতার সমাহার। মেয়েরা যে যার মতো ম্যাচিং করে জুতা নিয়ে যায়। একচেটিয়া কোন কিছু বিক্রি হচ্ছে না। তবে ছেলেরা পাঞ্জাবির সঙ্গে পরার জন্য স্লিপার বা স্যান্ডেল নিয়ে যাচ্ছে।
এর বাইরে কনভার্স ও লোফারের বেশ চাহিদা রয়েছে। এই রোডে রয়েছে আরও বেশ কিছু জুতার দোকান। এর মধ্যে রয়েছে স্পান, সানী, দ্বিপালী, টোকিও, বে, এ্যাপেক্স ইত্যাদি। এখানে রয়েছে লোকাল উদ্যোক্তাদের বানানো জুতার মার্কেট হাই ম্যানশন।
এখানে ঢুকতেই চোখে পড়বে ছোট ছোট বেশ কয়েকটি দোকান। জুতা সাজানো রয়েছে দেয়ালজুড়ে। বিক্রেতা আনিস জানান, বিক্রি জমে উঠেছে। ছেলে-মেয়ে এমনকি বাচ্চাদের জন্যও এখানে জুতা রয়েছে। এই জুতার অনেকগুলো চায়না আবার অনেকে নিজেরা চামড়া দিয়ে তৈরি করে বিক্রি করে। দামও রিজেনেবল ও টেকসই।
এমএ/এমআরএম/এমএস