চট্টগ্রামের পরিণতি ঢাকাতেও


প্রকাশিত: ০২:২৪ পিএম, ০২ আগস্ট ২০১৫

ঘূর্ণিঝড় কোমেনের আঘাত সইতে পারছে না মিরপুর। টানা তিনদিন খেলা পরিত্যক্ত। আঘাতটা এত লম্বা যে রীতিমত কোমায় পাঠিয়ে দিয়েছে মিরপুর টেস্টকে। শেষ দিনে দারুণ নাটকীয় কিছু না হলে নিশ্চিত ড্রয়ের পথে এগিয়ে যাচ্ছে এই টেস্ট। আর তা হলে টানা তিনটি টেস্ট ড্র করার গৌরব অর্জন করবে টাইগাররা!

কিন্তু আসলেই কি গৌরব? বৃষ্টির আঘাতে এই ড্রয়ে কতটা কৃতিত্ব আছে টাইগারদের? ইতিহাস ভিন্ন কথা বলে। এই সিরিজের আগে আটটি টেস্টের আটটিতেই পরাজয়। তার মাঝে সাতটি ইনিংস ব্যবধানে পরাজয়। তবে সাম্প্রতিক পারফর্মেন্স বদলে দিয়েছে দলের চেহারা। টানা চারটি ওয়ানডে সিরিজ জয়। টেস্টেও খুব খারাপ নয়।

সর্বশেষ সাত টেস্টে তিনটি জয়, তিনটি ড্র এবং তার বিপরীতে হার একটি। আর এই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের ড্র হওয়া প্রথম টেস্টে শেষদিন পর্যন্ত চালকের আসনেই ছিল বাংলাদেশ। টেস্টের এক নম্বর এই দলকে ২৪৮ রানে গুটিয়ে দিয়েছিল টাইগাররা। তাই বৃষ্টির সৌজন্যে ড্র পেলেও কৃতিত্ব কোনো অংশে কম নয় টাইগারদের।

তবে এমন ড্রয়ে খুশি নন বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়রা। ফলাফল যাই হোক মাঠে নেমে খেলতে চেয়েছেন সবাই। তবে প্রকৃতির উপর কারো হাত না থাকায় মেনে নিতে হচ্ছে এমন ফলাফল। এই ড্র এনে দিয়েছে মূল্যবান ছয়টি রেটিং পয়েন্ট। যদিও এটাকে পয়েন্ট ভাবতে রাজি নন বাংলাদেশ দলের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

তিনি আক্ষেপ করে বললেন, ‘৬ পয়েন্ট পাওয়ার থেকে খেলাটাই আমরা বেশি উপভোগ করতাম।’ তিনি আরো বলেন, ‘আবহাওয়ার উপর তো আর কারো হাত নেই। সবাইতো চাচ্ছি আমরা খেলতে। এখনতো পরিস্থিতির শিকার। দেখা যাক কাল কি হয়?’

দলের অন্যান্য সকল খেলোয়াড়েরও একই মত। এই ড্রয়ের চেয়ে তারা মাঠে খেলা শ্রেয়তর ভাবছেন সবাই। কিছুদিন আগে অধিনায়ক মুশফিক বলেছিলেন, ‘আমরা গত আট মাস ভালো ক্রিকেট খেলছি। ওয়ানডে এবং টেস্ট দুটোতেই। তাই টেস্টে সেরাটা দিতে পারলে হয়তো ফলাফল আমাদের দিকেই ঝুঁকবে।’ কিন্তু সেরাটা দেয়ার সুযোগই পেলেননা স্বাগতিকরা। বৃষ্টির বাধায় শেষ হলোনা বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস।

প্রথম ইনিংসের অপরাজিত ব্যাটসম্যান নাসির হোসেনতো রিয়াদকে মজা করে বলেছেন, ‘ভাইয়া ভালো লাগছে না। দু’দিন ধরে নট আউট আছি।’ ভালো থাকার কথাও নয়। ক্রিকেট পাগল বাঙ্গালি জাতি চায় সারা বছরই খেলা মাঠে থাকুক। রিয়াদতো বলেই দিলেন, ‘আমি তো চাই সারাবছরই খেলা হোক। এটা আমি ফিল করি। ক্রিকেটারের চিন্তা থাকে সারাবছর ক্রিকেট খেলা।’

পুরো পাঁচদিন টেস্ট ম্যাচ দুটি খেলতে পারলে আসন্ন অস্ট্রেলিয়া সিরিজের জন্য প্রস্তুতিটা খুবই ভালো হত বলে মনে করেন রিয়াদ। ফলাফল যাই হত নিজেদের অভিজ্ঞতা এবং আত্মবিশ্বাস বেড়ে যেত। কারণ দক্ষিণ আফ্রিকা বর্তমানে টেস্ট র্যাংকিংয়ের এক নম্বর দল। তাদের বিপক্ষে লড়াই করে হারলেও অনেক কিছু শেখা যায় ধারণা এই টাইগারের।

নিজেদের স্কিলগুলোকে আরো ঝালিয়ে নিতে পারতেন টাইগাররা। তবে আপাতত সে সুযোগ আর পাচ্ছে না মুশফিকবাহিনী। সোমবার বিশ্বের সেরা দলটির বিপক্ষে শেষ দিন মাঠে নামছে বাংলাদেশ। তাও নির্ভর করছে প্রকৃতির দয়ার উপর।

আরটি/এসএইচএস/এমআরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।