স্মার্টকার্ডে থাকবে ২৫ নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য


প্রকাশিত: ১১:১৮ এএম, ০২ আগস্ট ২০১৫

বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় নতুন প্রযুক্তিতে তৈরি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) স্মার্টকার্ডে ২৫টি নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য থাকবে। তিনটি স্তরে এসব নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য রাখা হবে বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানিয়েছে নির্বাচিন কমিশন (ইসি)।

রোববার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্মার্টকার্ড তৈরির অগ্রগতি নিয়ে আয়োজিত এক উপস্থাপনায় এ কথা জানায় ইসি। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সংবাদিকদের বিষয়টি জানান।

ইহসানুল করিম জানান, প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মার্টকার্ডের কারিগরি ও নিরাপত্তার দিকগুলো তুলে ধরা হয়েছে। স্মার্টকার্ডে (জাতীয় পরিচয়পত্র) তিনটি স্তরে ২৫টি নিরাপত্তা বৈশিষ্ট থাকবে। এ কার্ডটি ১০ বছরের জন্য টেকসই করে তৈরি হচ্ছে বলে প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

তিনি আরো বলেন, এরই মধ্যে স্মার্টকার্ডের জন্য ৯ কোটির বেশি মানুষের তথ্যভন্ডার বা ডাটাবেজ তৈরি করা হয়েছে।

জানা যায়, স্মার্টকার্ড প্রস্তুত ও বিতরণের লক্ষ্যে ফ্রান্সের অবার্থুর টেকনোলজিস নামে এক সংস্থার সঙ্গে প্রায় ৮০০ কোটি টাকার চুক্তি করেছে ইসি। ইতোমধ্যে স্মার্টকার্ডের নমুনা চূড়ান্ত করে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি স্থাপনের কাজও শেষ হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, স্মার্ট আইডি কার্ড প্রস্তুত ও বিতরণের দায়িত্বে থাকবে ফ্রান্সের ওই সংস্থার। আর সেটা ভোটারদের হাতে পৌঁছবে ২০১৬ সালের জুনের মধ্যে।

বর্তমানে ৯ কোটি ৬২ লাখেরও বেশি নাগরিক ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এরমধ্যে ৯ কোটি ১৫ লাখের মতো ভোটারের হাতে লেমিনেটেড জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্মার্টকার্ড তৈরির অগ্রগতি উপস্থাপনার সময় স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র প্রকল্পের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সুলতানুজ্জামান মো. সালেহ উদ্দিনসহ নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারাও ছিলেন।

এইচএস/আরএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।