মাদকের আখড়াটি এখন ‘ডে কেয়ার সেন্টার’
মহাখালী সাততলা বস্তি এলাকা। মাদকসেবীদের আনাগোনায় এখানে শুরু হতো দিন। চলত গভীর রাত পর্যন্ত। মাদকের বেচাবিক্রি ও হাঁকডাকে কলুষিত থাকত চারপাশ। সেখানে মাদক বিক্রেতা সীমা ও রিমার অবৈধ একটি বাড়ি মাদকের আখড়া ছিল। এখন এই চিত্র পাল্টে গেছে। নিয়েছে নতুন রূপ। মাদকের পরিবর্তে ওই বাড়িটি ছোট বাচ্চাদের ছোটাছুটি আর পড়ালেখায় থাকবে মুখরিত। কারণ এই বাড়িটিতে ‘কমিউনিটি ডে কেয়ার সেন্টার’ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
বুধবার বেলা ১১টায় ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া এই ডে কেয়ার সেন্টারের উদ্বোধন করেন। এসময় বনানী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম জসিমউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
কমিশনার বলেন, ‘সাততলা বস্তির এই বাড়িটি ছিল সরকারি জায়গা। এখানে অবৈধ বাড়ি বানিয়ে মাদক ব্যবসা করত সীমা ও রিমা। সাততলা বস্তিতে ছিল মাদকের ছড়াছড়ি। এই ডে কেয়ার সেন্টারের জায়গা ছিল মাদক সেবীদের আখড়া। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় ‘কমিউনিটি ডে কেয়ার সেন্টার’টি নির্মাণ করা হয়েছে। এটি কমিউনিটি বেইজড একটি প্রতিষ্ঠান। স্থানীয়দের অনুদানে চলবে এই ডে কেয়ার সেন্টার। সাততলা বস্তিতে বসবাসরত অধিকাংশ নারী কর্মজীবী। এই ডে কেয়ার সেন্টার তারা তাদের সন্তানকে রেখে নিশ্চিন্তে কর্মস্থলে যেতে পারবে। ডে কেয়ার সেন্টারে বাচ্চাদের যত্নের পাশাপাশি শেখানো হবে পড়ালেখা ও খেলাধুলা। বাচ্চাদের পদচারণায় মুখরিত থাকবে এই জায়গাটি।’
মাদক বিক্রেতাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে কমিশনার বলেন, ‘ঢাকা শহরে কোনো মাদক ব্যবসায়ীর স্থান হবে না। যারা মাদকের পৃষ্টপোষক, আশ্রয়দাতা, অর্থদাতা তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
পুলিশ জানিয়েছে, ডিএমপির চলমান মাদকবিরোধী অভিযান ও মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ অবস্থানের ফলে কুখ্যাত মাদক সম্রাজ্ঞী সীমা ও রিমা টিকতে না পেরে গা ঢাকা দিয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ মাদক বেচাকেনায় ব্যবহৃত বাড়িটিকে বানিয়েছে ‘কমিউনিটি ডে কেয়ার সেন্টার’। এর আগেও রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে মাদক সম্রাট আব্দুল জলিলের বাড়িটিকে বানানো হয় ‘কমিউনিটি ডে কেয়ার সেন্টার’।
এআর/জেডএ/জেআইএম