শেষ দিনেও কমলাপুরে জনসমুদ্র

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:৫৬ এএম, ০৬ জুন ২০১৮

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে অগ্রিম টিকিট বিক্রির শেষ দিনেও (বুধবার) টিকিট প্রত্যাশীদের ভিড়ে কমলাপুর রেল স্টেশন জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। ট্রেনের টিকিটের জন্য রীতিমতো যুদ্ধে নেমেছেন বাড়িফেরা মানুষ। গত রাত থেকে অপেক্ষমাণ টিকিট প্রত্যাশীদের পদচারণায় স্টেশনে যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই।

আজ বিক্রি হচ্ছে আগামী ১৫ জুনের টিকিট। সকাল ৮টা থেকে এই টিকেট বিক্রি শুরু হয়েছে। মোট ২৬টি কাউন্টারে যাত্রীরা দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করছেন। হাজার হাজার মানুষের এ লাইন কাউন্টারের সামনে থেকে শুরু করে সড়কের কাছাকাছি চলে গেছে।

প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাড়ি ফেরার জন্য টিকিট প্রত্যাশীরা রাত থেকেই দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন- কখন তার কাঙ্ক্ষিত সময় আসবে? হাতে পাবেন তার সোনার হরিণ সমতুল্য ঈদের অগ্রিম টিকিট?

Tikit

এমনই একজন রাজশাহীর তৌফিক। গতকাল ভোর রাত ৪টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়েছেন তিনি। তবে এখনেও টিকিট মিলেনি। তিনি বলেন, পরিবারের সবাইকে নিয়ে এক সঙ্গে ঈদ করার জন্য কষ্ট করে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। আশা করছি টিকিট পাব।

কাউন্টার থেকে ধীর গতিতে টিকিট দিচ্ছে অভিযোগ করে তৌফিক বলেন, লাইন যেন আগায় না। একটি টিকিট দিতেই তাদের ৮/১০ মিনিট গেলে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে স্টেশনের ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী বলেন, টিকিট বিক্রি হচ্ছে সময় বেশি লাগছে এ অভিযোগটি ঠিক নয়। সকাল ৮টা থেকে অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। আজকে ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রির শেষ দিন। আজকে দেয়া হচ্ছে ১৫ জুনের টিকিট। প্রতি যাত্রীকে চারটি করে টিকিট দেয়া হচ্ছে। ঈদ উপলক্ষে আজকে মোট ২৭ হাজার ৪৬০টি টিকিট বিক্রি হবে। যতক্ষণ কাউন্টারে টিকিট থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত টিকিট বিক্রি হবে।

Tikit

অনেকে দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়েও টিকিট পাচ্ছে না এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে স্টেশন ম্যানেজার বলেন, কয়েকটি ট্রেনের টিকিট শেষ হয়ে গেছে যেমন তিস্তার টিকিট নেই। এ বিপরীতে দেওয়ানগঞ্জের বিশেষ ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে।

অনেকে গতকাল রাত থেকে লাইনে দাঁড়িয়েও এসি টিকিট পাচ্ছে না এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এসি আসন সীমিত তাই পাচ্ছে না। এসি টিকিট মাত্র ৭৮টি। তিন কাউন্টার থেকে বিক্রি হচ্ছে। সবার পাওয়া সম্ভব না।

এদিকে দীর্ঘক্ষণ লাইনে অপক্ষের পর যখন কাঙ্ক্ষিত টিকিট মিলছে তখন যেন খুশির আর শেষ নেই। এমনই একজন রাজু। তিনি বলেন, ঈদে গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী যাবে। ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়েছি। টিকিট পেলাম। বেশ খুশি লাগছে যে বাবা-মার সঙ্গে ঈদ করতে পারবো।

এসআই/এমবিআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।