কক্সবাজার বিমানবন্দরে নির্মাণ হচ্ছে বিশ্বমানের প্যাসেঞ্জার ভবন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:০২ পিএম, ২৯ মে ২০১৮

কক্সবাজার বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে উন্নীত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ জন্য বিমানবন্দরে একটি আন্তর্জাতিক মানের প্যাসেঞ্জার ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে।

নির্মাণ কাজটি বাস্তবায়ন করবে দেশীয় প্রতিষ্ঠান মেসার্স সিআরএফজি-এনডিইজেভি। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৭৫ কোটি টাকা। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এ কাজে ঠিকাদার নিয়োগ-সংক্রান্ত একটি ক্রয় প্রস্তাব পাঠিয়েছে। বুধবার (৩০ মে) মন্ত্রিসভা কক্ষে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপাতিত্বে অনুষ্ঠিতব্য বৈঠকে প্রস্তাবনাটি উপস্থাপিত হতে পারে।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. মহিবুল হক স্বাক্ষরিত প্রস্তাবনায় বলা হয়, কক্সবাজার বিমানবন্দর দেশের অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর সমূহের মধ্যে অন্যতম। বর্তমানে এ বিমানবন্দরে প্রতিদিন গড়ে ১০টি যাত্রীবাহী ও চারটি কার্গো বিমান উড্ডয়ন-অবতরণ করে। দেশের পর্যটন শিল্প বিকাশে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের যাতায়াত সুবিধায় পর্যটন নগরী কাক্সবাজারের সঙ্গে রাজধানীসহ অন্যান্য শহরের মধ্যে সুপরিসর বিমান চলাচল সুবিধা নিশ্চিত করা দরকার। এ লক্ষ্যে ‘কক্সবাজার বিমানবন্দর উন্নয়ন (১ম পর্যায়)’ শীর্ষক একটি প্রকল্প চলমান রয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় রানওয়ের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ বর্ধিতকরণ, লাইটিং সিস্টেম ও যন্ত্রাপাতি স্থাপনসহ রানওয়ের সুবিধাদি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মানদণ্ডে উন্নীত করা হচ্ছে।

প্রস্তাবনায় আরও বলা হয়- কক্সবাজার বিমানবন্দরের সঙ্গে সরাসরি বহির্বিশ্বের যোগাযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে একটি আন্তর্জানিত প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবন নির্মাণ আবশ্যক। এ লক্ষ্যে বর্ণিত প্রকল্পটি ২৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বেবিচকের নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়। উন্মুক্ত দরপত্রে অংশগ্রহণ করে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ঠিকাদার হিসেবে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সিআরএফজি-এনডিইজেভিকে নিয়োগ দেয়া যেতে পারে।

এমইউএইচ/এএইচ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।