ঢাকায় থাই রাজকুমারী, চট্টগ্রাম আসছেন বুধবার

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ০৩:৫৯ পিএম, ২৮ মে ২০১৮

চারদিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছেন থাইল্যান্ডের রাজকুমারী মহাচক্রী সিরিনধরন। আগামী ৩০ মে তার নেতৃত্বে আসা ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল চট্টগ্রামে আসছে। এ সময় পাহাড়ের ক্ষয়রোধ করে দূষণ ও ধস ঠেকাতে জাদুর ঘাস খ্যাত বিন্না ঘাস বা ভেটিভার সেন্টার উদ্বোধন করবেন।

সোমবার দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রাজকুমারী ও তার সঙ্গীদের বহনকারী থাই এয়ারওয়েজের ফ্লাইটটি অবতরণ করে।

বিমানবন্দরে রাজকুমারী মহাচক্রীকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাঈদা মুনা তাসনিম ও ঢাকায় নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত পানপিমন সুবান্নেপংসে।

সফরকালে থাই রাজকুমারী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। এছাড়া দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে আলোচনা ও বেশ কিছু উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন ও উদ্বোধন করবেন তিনি।

এছাড়া আগামী বুধবার রাজকুমারী মহাচক্রী শিরিনধরন চট্টগ্রাম পরিদর্শনে যাবেন এবং সেখানে পাহাড়ের ক্ষয়রোধ করে দূষণ ও ধস ঠেকাতে জাদুর ঘাস খ্যাত বিন্না ঘাস বা ভেটিভার সেন্টারসহ বেশ কিছু উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।

চসিক সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের সিটি মেয়র আজম নাছির উদ্দিনের সঙ্গে থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত পানপিমন সোয়ান্নাপাংচে চট্টগ্রামের পাহাড়ে বিন্না ঘাস প্রকল্প বাস্তবায়ন বিষয়ে সাক্ষাৎ করেন।

এ সময় তিনি জানান, বাংলাদেশের খ্যাতিমান বিজ্ঞানী ড. শরীফুল ইসলামের উদ্ভাবন বিন্না ঘাস প্রকল্প থাইল্যান্ডে বাস্তবায়ন করে সফলতা অর্জন করেছে। এই ধারাবাহিকতায় ড. শরীফুল ইসলামের উদ্যোগ এবং আবেদনে সাড়া দিয়ে থাই সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রদূত সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের কাছে চট্টগ্রামের পাহাড়ে বিন্না ঘাস প্রকল্প বাস্তবায়ন বিষয়ে প্রস্তাবনা পেশ করা হয়। প্রস্তাবনায় সিটি মেয়রের সম্মতি নিয়ে চট্টগ্রামের পাঁচটি পাহাড়ে এই বিন্না ঘাস প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করা হয়।

এমআরএম/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।