কাপড়ের রং সেমাইয়ে, মেয়াদোত্তীর্ণ উপকরণে বেকারির পণ্য
* রায়েরবাজার, হাজারীবাগে অভিযান
* ২ বেকারি ও ২ মাংস বিক্রেতাকে সাড়ে ৬ লাখ টাকা জরিমানা
* একটি বেকারির মালিক, ম্যানেজারসহ ৬ কর্মচারীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড
কাপড়ে ব্যবহার্য রং দিয়ে বানানো হচ্চে সেমাই। বিভিন্ন বেকারির পণ্য তৈরিতে দেয়া হচ্ছে মেয়াদোত্তীর্ণ উপাদান। আর গরুর মাংস তো বেশি দামে নেয়া হচ্ছেই। এ রকম অসাধু ব্যবসায়ীদের ধরতে রোববার রাজধানীর রায়েরবাজার ও হাজারীবাগ এলাকায় অভিযানে নামে র্যাব। সেখানে দুটি বেকারি ও দুই মাংস বিক্রেতাকে সাড়ে ৬ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে একটি বেকারির মালিক, ম্যানেজারসহ ৬ কর্মচারীকে।
র্যাব-২ এ অভিযান পরিচালনা করে। এতে সহযোগিতা করে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। আর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।
সারওয়ার আলম জানান, রায়েরবাজারে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্যে গরুর মাংস বিক্রি করায় দুই মাংস বিক্রেতাকে ২৫ হাজার করে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
একই এলাকার খান ফ্যাক্টরিতে কাপড়ে ব্যবহার্য রং দিয়ে সেমাই তৈরি এবং অত্যন্ত নোংরা পরিবেশে চানাচুরসহ অন্যান্য বেকারি পণ্য উৎপাদন করায় এর মালিক মো. আব্দুর রব খানকে ১ বছর, ম্যানেজার মো. ফারুককে ৬ মাস, কারিগর সাজ্জাদ, লাভলু, হাফিজুর রহমান ও মাসুদ আলমকে এক মাস করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
পরে হাজারীবাগ এলাকায় অত্যন্ত নোংরা পরিবেশে বেকারিপণ্য তৈরি করায় ঢাকা মডার্ন বেকারিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। একই এলাকার রানা ব্রেড অ্যান্ড বিস্কুট ফ্যক্টরিতে মার্চ মাসে মেয়াদোত্তীর্ণ উপাদান দিয়ে বিভিন্ন ধরনের কেকসহ অন্যান্য পণ্য তৈরি করায় ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
জেইউ/জেডএ/পিআর