অভিযানে হদিস মেলেনি ‘ইয়াবা সম্রাট’ ইশতিয়াকের

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:২৬ পিএম, ২৬ মে ২০১৮

মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে অভিযানে শতাধিক মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবী আটক হলেও হদিস মেলেনি ঢাকার মাদক ও ইয়াবা সম্রাট ইশতিয়াকের।

শনিবার বেলা ১১টা থেকে টানা তিন ঘণ্টা অভিযান চালায় র‌্যাব। অভিযানের এক পর্যায়ে ইশতিয়াকের বাড়িতে হানা দেয় র‌্যাব। কিন্তু তার বাড়ি খালি পাওয়া যায়।

ইশতিয়াকের পর তার সেকেন্ড ইন কমান্ড নাদিমের বাসায় অভিযান চালানো হলেও ফলাফল শূন্য। তাকেও গ্রেফতার করা যায়নি। তবে তাদের বাড়ির ড্রেনের সামনে থেকে ইয়াবাসহ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে।

অভিযানের পর র‌্যাব জানায়, গত কয়েকদিন ধরেই সাদা পোশাকে র‌্যাব সদস্যরা সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে। পরে সার্বিকভাবে অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত হয়। র‌্যাবের-১, ২, ৩, ৪ ও ১০ ব্যাটালিয়নসহ সদর দফতরের একটি টিম যৌথভাবে অভিযান চালায়।

র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান বলেন, জেনেভা ক্যাম্পকেন্দ্রীক মাদক ব্যবসার বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্য ছিল। সে অনুযায়ী অভিযান চালিয়ে নারীসহ শতাধিক জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে যাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। বাকিদের ছেড়ে দেয়া হবে।

কে এই ইশতিয়াক

গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, জেনেভা ক্যাম্পে মাদকের মূল নিয়ন্ত্রক এবং ঢাকা শহরে প্রধান ইয়াবা সরবরাহকারী ইশতিয়াক। কক্সবাজার থেকে সরাসরি ইয়াবার চালান নিয়ে আসেন। তার বিরুদ্ধে মাদক ও হত্যাসহ শুধুমাত্র মোহাম্মদপুর থানায় ১৫টি মামলা রয়েছে। মাদক ব্যবসায় তার প্রধান দুই সহযোগী হলেন নাদিম হোসেন ওরফে পঁচিশ ও সেলিম ওরফে চুয়া ওরফে চোরা সেলিম।

২০০৭ সালে জেনেভা ক্যাম্পে পরিত্যক্ত বোতল কুড়াতো ইশতিয়াক। ইয়াবা ব্যবসায় করে বর্তমানে হেমায়েতপুরে নির্মাণ করেছেন একটি ডুপ্লেক্স, আশুলিয়ায় গাজীর চট ও বেড়িবাঁধের পাশেও নির্মাণাধীন দুটি বাড়িসহ উত্তরাতে তার একাধিক বাড়ি রয়েছে। সাভারে রয়েছে শত শত বিঘা জমিসহ বেশ কয়েকটি প্লট।

নাদিম ওরফে পঁচিশের পরিচয়

ইশতিয়াকের পর গোয়েন্দাদের তালিকায় দ্বিতীয় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী নাদিম হোসেন। গত ৩ নভেম্বর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্প থেকে পঁচিশকে প্রথমবারের মতো গ্রেফতার করা হয়। সে দিনের আলোচিত ওই অভিযানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সঙ্গে ছিল র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবি, কোস্টগার্ড, এপিবিএন ও এনএসআইয়ের ২০০ সদস্য। তবে গ্রেফতারের ১২ দিন পর ১৫ নভেম্বর নিম্ন আদালত থেকে চার মামলায় জামিনে ছাড়া পায় সে। ক্যাম্পে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত সে মাদক ব্যবসা করে বলে গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য রয়েছে ।

এআর/জেইউ/এএইচ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।