রাজধানীতে অল্প বৃষ্টিতেই ভোগান্তি

জসীম উদ্দীন
জসীম উদ্দীন জসীম উদ্দীন , নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:২৬ পিএম, ২২ মে ২০১৮

বৃষ্টি নিয়ে নানা কবিতা, গল্প আর গান থাকলেও রাজধানীতে বাস্তবতা ভিন্ন। বৃষ্টি হলে রাজধানীতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ে মতিঝিল, উত্তরা, মিরপুর, কালশী, বাড্ডা, রামপুরা, বনশ্রী ও পুরান ঢাকার মানুষ। বাদ যায় না গুলশান, বনানী কিংবা ধানমন্ডির মতো অভিজাত এলাকাও।

মঙ্গলবার দুপুরে ১৯ মিলিমিটার বৃষ্টিতে রাজধানীতে দেখা দিয়েছে বন্যা! বৃষ্টিতে কোথাও হাঁটুপানি কোথাও বা কোমর পানি জমে গেছে। কোথাও বিকল হয়ে পড়ে থাকতে দেখা গেছে যানবাহন।

rain

সংশ্লিষ্টরা জানায়, উন্নয়নের স্বার্থে রাজধানীকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। তবুও যেন কমছে না ভোগান্তি। আগে যেখানে পানি জমতো না এখনও সেখানেও পানি জমছে।

রাজধানীর ভাটারা থানাধীন ছোলমাইদ এলাকায় রীতিমতো বন্যা। ওই এলাকা থেকে এমদাদুল হক নামের এক গণমাধ্যম কর্মী জানান, ব্যক্তিগত কাজে ভাটারায় এসে বৃষ্টিতে আটকা পড়েছি। বৃষ্টি থামলেও মোটরসাইকেল নিয়ে বের হওয়ার অবস্থা নেই। ততক্ষণে রাস্তায় হাঁটুর উপরে পানি। অগত্যা পানি কমার অপেক্ষায় বসে আছি।

rain

আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী রাজধানীতে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ১৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু এ বৃষ্টিতেই যেন ভোগান্তির শেষ নেই নগরবাসীর।

বনানী থেকে সারওয়ার আলম নামে একজন মোবাইলফোনে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বন্যা দেখতে চাইলে এখন ঢাকার বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। বনানী আসুন। নগর পিতা আর ওয়াসা কি ভোগান্তিতে ফেলেছে সাধারণ মানুষকে।

rain

অনিক নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আর নয় কক্সবাজার, রাজধানীতেই সি বিচের স্বাদ পাবেন খরচা ছাড়াই।’

বৃষ্টির পর যানজট আর জলজটে রাস্তায় ভোগান্তি আরও তীব্র হয়। রাস্তার মাঝখানে গণপরিবহন, প্রাইভেটকার ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা বিকল হয়ে পড়ে থাকতেও দেখা গেছে।

rain

বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় পানিবন্দি থাকার অভিজ্ঞতা ফেসবুকে দিয়েছেন মোহাম্মদ মোহসিন। স্ট্যাটাসে তিনি বসুন্ধরাকে নদী হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজার এলাকার বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, বৈশাখের শুরু থেকেই যেন নিয়ম করে প্রতিদিন বৃষ্টি হচ্ছে। এর সঙ্গে চলছে রাস্তাকাটা আর পাইপ বসানোর কাজ। হয়তো প্রয়োজনেই সংশ্লিষ্টরা রাস্তা কাটছেন। কিন্তু সবাই কাটলেও কেউ মেরামত করছেন না। কাটার পর শুধু মাটি চাপা দিয়েই শেষ। বর্ষায় ভোগান্তির এটাও অন্যতম কারণ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

rain

এ ব্যাপারে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার তাকসিম এ খানের যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে মোবাইলে পাওয়া যায়নি।

জেইউ/এএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।