‘চিকুনগুনিয়া-ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রয়োজন সচেতনতা’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৩৩ পিএম, ২২ মে ২০১৮

‘চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গু ভাইরাসজনিত জ্বর। এডিস মশা এ জ্বরের একমাত্র বাহক। এডিস মশা সাধারণত ভোরে এবং সন্ধ্যায় কামড়ায়...’ সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এমন সব তথ্য জানাচ্ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) স্বাস্থ্য বিভাগ ও মশক নিধন কর্মীরা।

সেই সঙ্গে 'চিকুনগুনিয়া-ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে প্রয়োজন জনসচেতনতা' শীর্ষক লিফলেটও বিতরণ করেন তারা।

মঙ্গলবার ধানমন্ডি আবহানী মাঠের উল্টো দিকে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে জনসচেতনমূলক লিফলেট বিতরণ করেন তারা। পাশাপাশি মশক নিধন কার্যক্রমও চালানো হয়। তবে এ সময় মেয়র সাঈদ খোকনের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তিনি উপস্থিত ছিলেন না।

dangu1

লিফলেট বিতরণকালে ডিএসসিসির মশক নিধন কার্যক্রমে নিয়োজিত কর্মী বাবুল আক্তার বলেন, এডিস মশা পরিষ্কার বদ্ধ পানিতে জন্মে। এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে সব নাগরিকের সক্রিয় সহযোগিতা প্রয়োজন।

ডিএসসিসি সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি ধানমন্ডি, কলাবাগান ও পরীবাগ এলাকার ১৮টি বাড়ি পরিদর্শন করে ১১টিতেই এডিস মশার লার্ভা পেয়েছে ডিএসসিসি আঞ্চলিক অফিস। এসব বাড়ির পানির ড্রাম, ফুলের টব, ঘরের আশপাশে পড়ে থাকা মাটির ভাঙা হাঁড়ি-পাতিল, পরিত্যক্ত কলসি, বালতি, বোতল, কনটেইনার, টায়ার, পলিথিন ব্যাগ, ছোট-বড় গর্ত, নালা ও পুকুরে জমে থাকা পানিতে মশার লার্ভা পাওয়া যায়।

dangu1

এর আগে এডিস মশার লার্ভা ও প্রজননস্থল ধ্বংসের কার্যক্রম পরিচালনায় ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের সহায়তায় পাঁচটি অঞ্চলে একটি করে কমিটি গঠন করা হয়।

এদিকে সম্প্রতি তিন বছর পূর্তিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএসসিসির মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, এডিস মশা নিধনে ৫৭ ওয়ার্ডেই কাজ শুরু করেছে ডিএসসিসি।

এএস/এএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।