দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিলেন জজ মিয়া
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় ঢাকা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক শাহেদ নুর উদ্দিনের আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন জজ মিয়া। মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় শুরু হয়ে বেলা দেড়টা পর্যন্ত সাক্ষ্য গ্রহণ চলে।
সাক্ষ্যে জজ মিয়া বলেন, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার সময় তিনি নোয়াখালীর সেনবাগের গ্রামের বাড়িতে ছিলেন। ওই দিন সন্ধ্যায় গ্রামের একটি চায়ের দোকানের টেলিভিশনে গ্রেনেড হামলার খবর দেখতে পান।
রাজধানীর নাখালপাড়া এলাকায় থাকতেন আর গুলিস্তানে সিডির ব্যবসা করতেন এমন দাবি করে জজ মিয়া বলেন, গ্রেনেড হামলার পর তিনি ঢাকায় ফিরে আসেন। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি গ্রামের বাড়িতে ফিরে যান। ওষুধ কেনার জন্য বাজারে যাওয়ার পথে গ্রামের মোকছেদ চৌকিদারের সঙ্গে তার দেখা হয়। মোকছেদ চৌকিদার তাকে বলেন, ‘তুমি চোরাচালানির ব্যবসা করো। তোমার নামে ওয়ারেন্ট আছে। তোমাকে থানায় যেতে হবে।’
এরপর মোকছেদ চৌকিদারের সঙ্গে একটি মোটরসাইকেলে করে সেনবাগ থানায় যান জজ মিয়া। তিনি সেখানে গিয়ে দেখতে পান ঢাকা থেকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত সংস্থা (সিআইডি) থেকে লোক এসেছেন। তারা জজ মিয়াকে ঢাকার মালিবাগের কার্যালয়ে নিয়ে যান।
জজ মিয়া আদালতে বলেন, মালিবাগে সিআইডির কার্যালয়ে এনে তাকে সাজানো জবানবন্দি দিতে বলা হয়। অন্যথায়, তাকে ক্রসফায়ারে দেওয়া হবে এবং তার পরিবারকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়।
নিজের ও পরিবারের সদস্যদের জীবন বাঁচাতে সাজানো সাক্ষ্য দিতে রাজি হন। আদালতে এমন দাবি করে জজ মিয়া বলেন, সিআইডি অফিসে একটি কাগজে জবানবন্দি লিখে দেওয়া হয়। তা মুখস্থ করতে বলা হয়। জবানবন্দি মুখস্থ করে দৈনিক ৩ বার সিআইডি কর্মকর্তাদের কাছে বলতে হতো।