মাংসের দাম বেশি রাখায় জরিমানা
সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে মাংসের দাম বেশি রাখায় রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও পশ্চিম শেওড়াপাড়ায় ১০ মাংস ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
প্রতিষ্ঠানগুলো হলো : মোহাম্মদপুর এলাকার জালালাবাদ বয়লার হাউস, খুরশীদের মাংস বিতান, আজিমের মাংস বিতান, জনপ্রিয় খাসির মাংস, বিসমিল্লাহ খাসির মাংস, জহির মাংস বিতান, জহির অ্যান্ড জাহিদ, পশ্চিম শেওড়াপাড়া এলাকার সাত্তারের মাংসের দোকান, হানিফের মাংসের দোকান এবং হাবিবের মাংসের দোকান।
শনিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউনহল ও পশ্চিম শেওড়াপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব মাংস ব্যবসায়ীদেরকে মোট ৬৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানের নেতৃত্ব দেন অধিদফতরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (উপ-সচিব) মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার। এ সময় সঙ্গে ছিলেন অধিদফতরের ঢাকা জেলা অফিসের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মণ্ডল ও ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রজবী নাহার রজবী। বাজার অভিযানের সার্বিক সহযোগিতা করে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান (এপিবিএন)-১ ও ১১ এর সদস্যরা।
উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, সিটি কর্পোরেশন রমজান মাস উপলক্ষে গরুর মাংসের দাম ৪৫০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু বেশিরভাগ বিক্রেতাকে নির্ধারিত দামের চেয়ে ৩০-৫০ টাকা বেশি মূল্যে গরুর মাংস ও ৬০-১০০ টাকা বেশি দামে খাসির মাংস বিক্রি করছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪০ ধারা অনুযায়ী ১০ প্রতিষ্ঠানকে মোট ৬৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
তিনি বলেন, যারা মাংস বেশি দামে বিক্রি করছে তাদের আজ জরিমানার পাশাপাশি সতর্ক করেছি। যদি তারা সংশোধন না হয় তাহলে পরবর্তিতে প্রতিষ্ঠান সিলগালা করে দেবো।
এর আগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে মাংস ব্যবসায়ী সমিতির বৈঠক করে রোজায় মাংসের দাম নির্ধারণ করে। নতুন নির্ধারিত দাম অনুযায়ী, দেশি গরুর প্রতি কেজি মাংস নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৫০ এবং বিদেশি গরুর মাংস ৪২০ টাকা করা হয়েছে। এছাড়া খাসির মাংস প্রতি কেজি ৭২০, মহিষের মাংস ৪২০ এবং ভেড়া ও ছাগির মাংস ৬০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এসআই/এসএইচএস/আরআইপি