১৬২ ছিটমহলের নামের তালিকা


প্রকাশিত: ১১:১১ পিএম, ৩০ জুলাই ২০১৫

আজকের দিনের পর থেকে ছিটমহল নামে খাকবে না কোনো জনপদ। ঘড়ির কাঁটা রাত ১২টা পার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কার্যকর হবে ছিটমহল বিনিময়। বাংলাদেশের ভেতরে থাকা ১৭ হাজার ১৬০ দশমিক ৬৩ একর আয়তনের ভারতের ১১১টি ছিটমহল হবে বাংলাদেশের। অন্যদিকে, ভারতের মধ্যে থাকা সাত হাজার ১১০ দশমিক শূন্য দুই একর আয়তনের বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহল ভারতের হয়ে যাবে।

ফলে বদলে যাবে বাংলাদেশ ও ভারতের মানচিত্র। সেই সঙ্গে সাঙ্গ হবে দীর্ঘ ৬৮ বছরের বন্দী মানবতার। ১ আগস্ট ভোরে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে নতুনভাবে অন্তর্ভুক্ত ভারতের পূর্ববর্তী ১১১টি ছিটমহলে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উড়বে।

কলকাতায় ১৯৯৬ সালে তৎকালীন বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) এবং বিএসএফের মহাপরিচালক পর্যায়ে বৈঠকে দুই দেশের অভ্যন্তরে অবস্থিত ছিটমহলগুলোর সর্বশেষ তালিকা প্রণয়ন করা হয়। পরে ১৯৯৭ সালের ৯ এপ্রিল এ তালিকা চূড়ান্ত করা হয়। এ তালিকা অনুসারে ছিটমহলের মোট সংখ্যা ১৬২টি।

বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতের ছিটমহল :
পঞ্চগড় জেলার সদর, বোদা ও দেবীগঞ্জ উপজেলার ভেতরে ছিটমহল রয়েছে ৩৬টি। এগুলো হলো জেএল ৭৫ নম্বর গারাতি, ৭৬ নম্বর গারাতি, ৭৭ নম্বর গারাতি, ৭৮ নম্বর গারাতি, ৭৯ নম্বর গারাতি, ৮০ নম্বর গারাতি, ৭৩ নম্বর সিঙ্গিমারী (অংশ-১), ৬০ নম্বর নাজিরগঞ্জ, ৫৮ নম্বর নাজিরগঞ্জ, ৫৭ নম্বর নাজিরগঞ্জ, ৫৯ নম্বর পুটিমারী, ৫৬ নম্বর নাজিরগঞ্জ, ৫৪ নম্বর নাজিরগঞ্জ, ৫৩ নম্বর নাজিরগঞ্জ, ৫২ নম্বর নাজিরগঞ্জ, ৫১ নম্বর নাজিরগঞ্জ, ৫০ নম্বর নাজিরগঞ্জ, ৪২ নম্বর নাজিরগঞ্জ, ৪৯ নম্বর নাজিরগঞ্জ, ৫৫ নম্বর নাজিরগঞ্জ, ৪৮ নম্বর নাজিরগঞ্জ, ৪৬ নম্বর নাজিরগঞ্জ, ৪৭ নম্বর নাজিরগঞ্জ, ৪৫ নম্বর নাজিরগঞ্জ, ৪৪ নম্বর নাজিরগঞ্জ, ৪১ নম্বর নাজিরগঞ্জ, ৩৮ নম্বর দইখাতা, ৩৭ নম্বর শালবাড়ি, ৩৬ নম্বর কাজলদীঘি, ৩২ নম্বর নাটকটোকা, ৩৩ নম্বর নাটকটোকা, ৩৪ নম্বর বেহুলাডাঙ্গা (২ টুকরো), ৩৫ নম্বর বেহুলাডাঙ্গা, ৩ নম্বর বালাপাড়া খাগড়াবাড়ি, ২ নম্বর কোটভাজনী (৪ টুকরো) ও ১ নম্বর দহলা খাগড়াবাড়ি (৬ টুকরো)।

নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার অভ্যন্তরে রয়েছে চারটি ছিটমহল। এগুলো হলো জেএল ২৮ নম্বর বড় খানকিবাড়ি, ২৯ নম্বর বড় খানকি খারিজা গিদালদহ, ৩০ নম্বর বড় খানকি খারিজা গিদালদহ ও ৩১ নম্বর নগর জিগাবাড়ি।

লালমনিরহাট সদর, পাটগ্রাম ও হাতীবান্ধা উপজেলার অভ্যন্তরে রয়েছে ৫৯টি ছিটমহল। এগুলো হলো জেএল ১৫৩/পি নম্বর পানিশালা, ১৫৩/ও নম্বর পানিশালা, ১৮ নম্বর দিশারী খামারি খুশবুস, ১৯ নম্বর পানিশালা, ১৭ নম্বর পানিশালা, ১৭/৫ নম্বর কামাত চেংড়াবান্ধা, ১৬ নম্বর বোটবাড়ি, ১৬/এ কামাত চেংড়াবান্ধা, ২১ নম্বর পানিশালা, ২০ নম্বর লতামারি, ২২ নম্বর লতামারি, ২৫ নম্বর ডারিকামারি, ২৩ নম্বর ডারিকামারি, ১৪ নম্বর লতামারি, ১০ নম্বর খরখরিয়া, ১৪ নম্বর খরখরিয়া, ১০১ নম্বর ফুলকারবাড়ি, ১২ নম্বর বাগডাকিয়া, ১১ নম্বর রতনপুর, ৭ নম্বর উপেন চৌকি কুচলিবাড়ি, ১১৫/২ উপেন চৌকি কুচলিবাড়ি, ৬ নম্বর জামালদহ বালাপুকুরি, ৫ নম্বর বালাপুকুরি, ৪ নম্বর বালাখাঙ্গির, ৮ নম্বর ভোটবাড়ি, ৯ নম্বর বড়খাঙ্গির, ১০ নম্বর বাগডাকিয়া, ২৪ নম্বর ভোটহাট, ১৩১ নম্বর বাঁশকাটা, ১৩০ নম্বর বাঁশকাটা, ১৩২ নম্বর বাঁশকাটা, ১৩৩ নম্বর ভোয়ারামগুড়ি, ৩৮/৩৯ কুচবিহারের একটি ছিট, ১৩৪ নম্বর চেনাকাটা, ১১৯ নম্বর বাঁশকাটা, ১২৮ নম্বর বাঁশকাটা, ১১৭ নম্বর বাঁশকাটা, ১১৮ নম্বর বাঁশকাটা, ১১৬ নম্বর বাঁশকাটা, ১২৩ নম্বর বাঁশকাটা, ১২৪ নম্বর বাঁশকাটা, ১২৫ নম্বর বাঁশকাটা, ১২৯ নম্বর বাঁশকাটা, ১২৬ নম্বর বাঁশকাটা, ১২৭ নম্বর বাঁশকাটা, ১২০ নম্বর বাঁশকাটা, ১২১ নম্বর বাঁশকাটা, ১১৩ নম্বর বাঁশকাটা, ১১২ নম্বর বাঁশকাটা, ১১৪ নম্বর বাঁশকাটা, ১১৫ নম্বর বাঁশকাটা, ১২২ নম্বর বাঁশকাটা, ১০৭ নম্বর বড় কুচলিবাড়ি, ২৬ নম্বর কুচলিবাড়ি, ২৭ নম্বর কুচলিবাড়ি, ১৩৫ নম্বর গোতামারি, ১৩৬ নম্বর গোতামারি, ১৫১ নম্বর বাঁশ পচাই ও ১৫২ নম্বর ভিতরকুটি।

কুড়িগ্রাম সদর, ফুলবাড়ি, ভুরুঙ্গামারী ও উপজেলার অভ্যন্তরে ছিটমহল রয়েছে ১২টি। এগুলো হলো জেএল ১৫০ নম্বর দাসিয়ারছড়া, ১৪৯ নম্বর ছোট গাড়োলঝাড়া পিটি ১১, ১৪৮ নম্বর ছোট গাড়োলঝাড়া পিটি ১, ১৪৪ নম্বর দীঘলটারি, ১৪৫ নম্বর দীঘলটারি, ১৪৬ নম্বর গাওচুলকা, ১৪৭ নম্বর গাওচুলকা, ১৪৩ নম্বর বড় গাওচুলকা, ১৪২ নম্বর সেউতি কুর্শা, ১৫৩ নম্বর সাহেবগঞ্জ, ১৪১ নম্বর ছিট কালামাটি ও ১৫৬ নম্বর ডাকুরহটি ডাকিনিরকুটি।

ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের ছিটমহল :
ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলার অধীনে ৫১টি ছিটমহল রয়েছে। এগুলো হলো জেএল ২২ নম্বর কুচলিবাড়ি, ২৪ নম্বর কুচলিবাড়ি, ২১ নম্বর বালাপুকুরি, ২০ নম্বর পানবাড়ি, ১৮ নম্বর পানবাড়ি, ২১ নম্বর বামনজল, ১৪ নম্বর ধবলশুতি, ১৫ নম্বর ধবলশুতি মৃগিপুর, ১৪ নম্বর ধবলসুতি, ৩৫ নম্বর ল্যান্ড অব জগৎবেড়-১, ৩৬ নম্বর ল্যান্ড অব জগৎবেড়-২, ৩ নম্বর জোত নিজ্জামা, ৩৭ নম্বর জগৎবেড়, ৮ নম্বর শ্রীরামপুর, ৪৭ নম্বর কোকোবাড়ি, ৬৭ নম্বর ভান্দেরদহ, ৫২ নম্বর ধবলগুড়ি, ৭২ নম্বর ধবলগুড়ি (নং-৫), ৭১ নম্বর ল্যান্ড অব ধবলগুড়ি, ৩২ নম্বর ধবলগুড়ি, ৭০ নম্বর ল্যান্ড অব ধবলগুড়ি-৩, ৬৮ নম্বর ল্যান্ড অব ধবলগুড়ি, ৬৯ নম্বর ল্যান্ড অব ধবলগুড়ি, ৫৪ নম্বর মহিষমারি, ৬৪ নম্বর ফলনাপুর, ৬৫ নম্বর (৩ টুকরো) নলগ্রাম নম্বর-১, ৬৬ নম্বর (২ টুকরো) নলগ্রাম, ১৩ নম্বর শ্রাধুবল, ৫৭ নম্বর আমজল, ৮২ নম্বর কিসামত বাত্রিগাছ, ৮১ নম্বর (২ টুকরো) বাত্রিগাছ, ৮৩ নম্বর দুর্গাপুর, ১ নম্বর বনসুয়া খামার গিদালদহ, ৮ নম্বর কিসামত বাত্রিগাছ, ৮ নম্বর শিবপ্রসাদ মোস্তাফি, ৯ নম্বর (৩ টুকরো) করলা, ১৪ নম্বর (৩ টুকরো) উত্তর ধলডাঙ্গা, ১ নম্বর উত্তর বাঁশজানি, ২ নম্বর উত্তর মশালডাঙ্গা, ১১ নম্বর পূর্ব মশালডাঙ্গা, ৩ নম্বর (৬ টুকরো) মধ্য মশালডাঙ্গা, ৬ নম্বর (৬ টুকরো) দক্ষিণ মশালডাঙ্গা, ৫ নম্বর কচুয়া, ৪ নম্বর (২ টুকরো) পশ্চিম মশালডাঙ্গা, ৭ নম্বর পশ্চিম মশালডাঙ্গা, ৮ নম্বর মধ্য মশালডাঙ্গা, ১০ নম্বর (২ টুকরো) পূর্ব মশালডাঙ্গা, ১৭ নম্বর তিলাই, ৪০ নম্বর পূর্ব বাকালিরছড়া, ৩০ নম্বর মধ্য বাকালিরছড়া, ৩৮ নম্বর পশ্চিম বাকালিরছড়া ও ৩৭ নম্বর পাথরডুবি।

বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।