শুক্রবারের মধ্যে চামড়ার দাম নির্ধারণ
কোরবানির পশুর চামড়ার দাম শুক্রবারের মধ্যে নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহমেদ। মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে কোরবানির পশুর চামড়া রক্ষাণাবেক্ষণ সংক্রান্ত বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
শাহীন আহমেদ বলেন, গতবছর চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করলেও এ বছর আমরা মূল্য নির্ধারণের পক্ষে নই। ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে চামড়ার দর পড়ে যাওয়া এবং সরাকার কর্তৃক ঘোষিত প্রণোদনা প্রত্যাহারের কারণে বাংলাদেশের ট্যানারি শিল্পগুলো লোকসানে রয়েছে। তবে বাণিজ্যমন্ত্রীর অনুরোধে আগামী শুক্রবারের মধ্যে আমরা একটি দাম নির্ধারণ করে দেবো। নির্ধারিত মূল্য থেকে যাতে ৫ থেকে ১০ শতাংশ লাভ করতে পারি সেভাবেই দাম নির্ধারণ করা হবে।
এদিকে গতবছর লবনযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম ঢাকায় ছিল ৮৫ থেকে ৯০ টাকা, ঢাকার বাইরে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা। আর খাসি ৫০ থেকে ৫৫, বকরি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা ও মহিষ ৪০ থেকে ৪৫ টাকা ছিল। চামড়া ব্যবসার সঙ্গে জড়িত তিনটি প্রতিষ্ঠান গতবছর এ দাম নির্ধারণ করে।
বৈঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সীমান্ত দিয়ে যাতে চামড়া পাচার হতে না পারে সে জন্য আগামী এক মাস প্রয়োজনীয় ও বাস্তবসম্মত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে বাস্তবসম্মত ব্যবস্থা সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোতে কোনো সিন্ডিকেট যাতে চামড়া পাচার করতে না পারে সে জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি প্রয়োজনীয় অন্যান্য ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ জন্য সীমান্ত এলাকার লোকজনেরও সহযোগিতা চাওয়া হচ্ছে।