ফিল্টারের পানিতে অতিরিক্ত কেমিক্যাল : ৭ জনকে কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:০২ পিএম, ১২ মে ২০১৮
ছবি-ফাইল

রাজধানীর আদাবর ও মোহাম্মদপুর এলাকার ‘ফিল্টার’ পানির কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৭ জনকে কারাদণ্ড দিয়েছেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় দুই কারখানার মালিককে জরিমানা ও কয়েকটি কারখানা সিলগালা করা হয়।

র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে শনিবার দিনভর চলে এই অভিযান। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএসটিআই’র কর্মকর্তা মো. রেজাউল হক ও ফিল্ড অফিসার মো. শহিদুল ইসলাম তৌহিদ।

সারওয়ার আলম জাগো নিউজকে জানান, রাজধানীর রিলেয়াবেল ড্রিংকিংওয়াটার, রাজীব এন্টারপ্রাইজ, ইনাডা এ্যাকোয়া ড্রিংকিং ওয়াটার, প্রশান্তিফুডস পিওর ড্রিংকিং ওয়াটার, আলহাজ্ব মকবুল হোসেন ড্রিংকিং ওয়াটার, গ্রীনইকো ড্রিংকিং ওয়াটার কারখানায় অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে দেখা যায়, ড্রিংকিংওয়াটার প্রতিষ্ঠানগুলো লাইসেন্স ব্যতীত এবং ল্যাইসেন্স নবায়ন না করে সরাসরি ওয়াসার লাইন হতে পরিশোধন বা ফিল্টারিং ছাড়াই নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অতিরিক্ত মাত্রায় কেমিক্যাল যুক্ত পানি বোতলজাত করছে। এছাড়াও কারখানাগুলো কোনো প্রকার বায়োকেমিস্ট বা মান-নিয়ন্ত্রক কোনো কিছুই দেখা যায়নি। অবৈধ উপায়ে পানি বোতলজাত করে বাজারে বিপণন করায় প্রতিষ্ঠানগুলো সিলগালা করা হয়েছে।

আসামিদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে দোষী সাব্যস্ত করে ভ্রাম্যমাণ আদালত বিএসটিআই অধ্যাদেশ ২০০৯ এর ২৪/৩১(এ) এবং ৪৫ ধারায় ৭ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করেন। এছাড়াও ইনাডা এ্যাকোয়া ড্রিংকিংওয়াটার ও গ্রীন ইকো ড্রিংকিং ওয়াটার কোম্পানিকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

এআর/জেএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।