দ.আফ্রিকায় নিহত ওয়াসিমের দাফন সম্পন্ন
দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউন শহরে নিজ দোকানের কর্মচারীর ছুরিকাঘাতে নিহত মো. ওয়াসিমের (২১) মরদেহ দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ১০টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়নের আমতলী গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
ওয়াসিমের চাচাতো ভাই সাংবাদিক জহির রায়হান জাগো নিউজকে জানান, সকাল ৯টায় স্থানীয় বাইশ মৌজা বাজারে ওয়াসিমের প্রথম নামাজের জানাযা হয়। এরপর স্থানীয় একটি ঈদগাহ মাঠে দ্বিতীয় নামাজের জানাযা শেষে পারিবারিক করস্থানে ওয়াসিমকে দাফন করা হয়েছে।
এর আগে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় এমিরেট এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে করে ওয়াসিমের মরদেহ ঢাকায় আনা হয়। পরে এদিন রাতেই ওয়াসিমের মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সযোগে তার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়নের আমতলী গ্রামে আনা হয়। এরপর সেখানে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা ঘটে। ছেলের মরদেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন বাবা খায়েশ মিয়া ও মা স্বপ্না বেগম। ভোর থেকেই ওয়াসিমের মরদেহ দেখতে তার বাড়িতে ভিড় জমাতে থাকেন আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবরা। ওয়াসিমের মৃত্যুতে পুরো আমতলী গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
উল্লেখ্য, গত সাত মাস আগে সাত লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা যান ওয়াসিম। সেখানে গিয়ে বড় ভাই জসিমের সঙ্গে কেপটাউন শহরের বসবাস করছিলেন তিনি। কেপটাউন শহরে জসিমের একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোর রয়েছে। দুই ভাই মিলে একসঙ্গে সেই দোকান চালাতেন। কিন্তু গত ২৩ জুলাই বৃহস্পতিবার রাতে জসিম তার ছোট ভাই ওয়াসিমকে দোকানে রেখে নিমন্ত্রণ খেতে অন্য স্থানে যান। ওইদিন রাতে ওয়াসিমের সঙ্গে তাদের দোকানের একজন কর্মচারী ছিলেন। সেই কর্মচারী ওয়াসিমকে নেশাজাতীয় খাবার খাইয়ে অচেতন করে প্রথমে ছুরিকাঘাত করেন এবং পরে গলা কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করেন। এরপর দোকানে থাকা নগদ টাকা ও কিছু গুরুত্বপূর্ণ মালামাল নিয়ে যান বলে অভিযোগ করেন ওয়াসিমের স্বজনরা।
পরদিন শুক্রবার সকালে জসিম দোকানে এসে ওয়াসিমের রক্তাক্ত মরদেহ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর দ্রুত ভাইয়ের মৃত্যুর সংবাদটি মুঠোফোনের মাধ্যমে গ্রামের বাড়িতে জানান।
আজিজুল আলম সঞ্চয়/এমজেড