রোহিঙ্গা নিধন : ওআইসির মন্ত্রী পর্যায়ের কমিটি গঠন
অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনভুক্ত (ওআইসি) দেশগুলোর মন্ত্রী পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করেছে সংস্থাটি। এই কমিটির নেতৃত্বে রয়েছে গাম্বিয়া। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনকারীদের বিচারের জন্য কাজ করবে এই কমিটি।
রোববার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ওআইসির সদস্যভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৪৫তম সম্মেলনের (সিএফএম) সমাপনী শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
তিনি বলেন, ‘গাম্বিয়া এবং বাংলাদেশ যৌথভাবে ওআইসির দেশগুলোর মন্ত্রীদের নিয়ে একটা কমিটি করা হয়েছে। মিয়ানমারে সংঘটিত ঘটনাকে অনেকে গণহত্যা বলছেন বা জাতিগত নিধন বলছেন, সেটার বিচারের জন্য, যারা দায়ী তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য এই কমিটি করা হয়েছে। সার্বিকভাবে আমাদের এই সিএফএম আয়োজন সফল হয়েছে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ওআইসির সদস্যভুক্ত ৫৩টি রাষ্ট্র এবং তার সঙ্গে যারা অবর্জারভার আছেন, যে সংস্থাগুলো তাদের সঙ্গে জড়িত- তারা সবাই একটি কথা বলেছে, অতিসম্প্রতি যেহেতু নিরাপত্তা পরিষদের একটি সফর হয়েছে। সে নিরাপত্তা পরিষদ যেন সামনের দিকে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে, সার্বিক অর্থে জাতিসংঘ যেন একটা বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে এবং ইসলামি রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে এ বিষয়ে সবার সমান ধারণা ছিল না।
তিনি বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় পাওয়া যে পৃথিবীর সবাই বলছে, তারা বাংলাদেশের পাশে আছে।
শাহরিয়ার আলম বলেন, সফলভাবে ওআইসির সম্মেলন শেষ করা বাংলাদেশের জন্য একটা বড় ধরনের কূটনৈতিক সাফল্য। এই পর্যন্ত যত সিএফএম হয়েছে ৪৫তম সিএফএমে সবচেয়ে বেশি পার্টিসিপেন্ট। ‘বাংলাদেশের সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’- এই পররাষ্ট্রনীতির কারণে এমন কোনো রাষ্ট্র নেই যে এই সম্মেলনে আসেনি। বাংলাদেশের আমন্ত্রণে সবাই সাড়া দিয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রায় ৬০০ অতিথি এবং ১১০টি রাষ্ট্রের অতিথি এখানে এসেছিলেন। বাংলাদেশের বড় দুটি প্রত্যাশা ছিল। একটি হলো ওআইসি রিফর্ম। ওআইসি রিফর্ম নিয়ে একটা রেজ্যুলেশন গৃহীত হয়েছে। সেখানে তুরস্কের সঙ্গে বাংলাদেশ কাজ করবে ওআইস রিফর্মে।
এইউএ/জেডএ/আরআইপি