আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে খাদ্যের অভাব হবে না : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে খাদ্যের কোনো অভাব হবে না। একই সঙ্গে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বস্ত্র এবং বাসস্থানেরও ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে।
তিনি বলেন, শুধু খাদ্য উৎপাদন বাড়বে না, শিল্পায়নও হবে। কারণ ২০৪১ সালকে মাথায় রেখে আমরা সব পরিকল্পনা করছি।
রোববার দুপুরে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঝালকাঠির তিনটি উপজেলায় গরিব কৃষকদের মধ্যে পারিবারিক সাইলো প্রদানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। দেশের ১৯ জেলার কৃষকদের মধ্যে পাঁচ লাখ পারিবারিক সাইলো বিতরণ করা হবে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়াধীন ‘মডার্ন ফুড স্টোরেজ ফ্যাসালিটিজ প্রজেক্ট’ এর মাধ্যমে সাইলো বিতরণ করা হচ্ছে। প্রতিটি সাইলো তৈরি করতে ১৩৭৭ টাকা খরচ পড়েছে। তবে কৃষকদের কাছ থেকে প্রতীকী মূল্য ৮০ টাকা রেখে এ সাইলো দেয়া হচ্ছে। অনুষ্ঠনে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামসহ খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস ও ঘূর্ণিঝড়ে কৃষকরা যেন আপদকালীন খাদ্য, বীজ ও মূল্যবান জিনিসপত্র রাখতে পারে সে জন্য এ সাইলো সরবরাহ করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে খাদ্য নিরাপত্তা বজায় এবং উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য আমরা নানা প্রকল্প হাতে নিয়েছি। দেশের দক্ষিণাঞ্চলে এক সময় শস্যভাণ্ডার ছিল। কিন্তু এখন নেই। লবণাক্ততাসহ উপকূলীয় অঞ্চলে যাতে প্রচুর ফসল ফলানো যায় সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ভর্তুকির টাকা দেয়ার জন্য মাত্র ১০ টাকায় কৃষক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ পেয়েছে। এ ছাড়া দেশের দুই কোটির ওপর কৃষক কৃষি উপকরণ কার্ড পেয়েছে।
‘শিক্ষিত যুবকরা কৃষি কাজ করতে চায় না। তাই লেখাপড়া শিখে তারা যেন আরও উন্নত পদ্ধতিতে যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে চাষাবাদ করতে পারে সে ব্যবস্থা করা হবে। শিক্ষিত হলেই কেউ যেন কৃষি বিমুখ না হয় সে ব্যবস্থা করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে তিন কোটি ৮৮ লাখ মেট্রিকটন খাদ্য উৎপাদন হচ্ছে। যথেষ্ঠ পরিমাণে খাদ্যশস্য মজুত আছে। দুর্যোগ হলেও কোনো সমস্যা হবে না। খুলনা থেকে বরিশাল পর্যন্ত কোথাও আধুনিক রাইস মিল নেই। বরিশালের ধান যায় কুষ্টিয়ায়। এখানে ধনাঢ্য যথেষ্ট ব্যক্তি আছে। তারা যেন এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়।
তিনি বলেন, ধান উৎপাদনটা দক্ষিণাঞ্চলে নিতে চাই। এ জন্য গবেষণা করে নতুন নতুন প্যাটান্ট তৈরি করতে হবে। বরিশালে পেয়ারা ও আমড়া ভালো। এগুলো প্রক্রিয়াজাতকরণ করে বিদেশে রফতানির ব্যবস্থা করতে হবে। শিল্পাঞ্চল করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে যারা উদ্যোগ নেবেন তাদের প্লটসহ বিশেষ সুবিধা দেয়া হবে।
এফএইচএস/এএইচ/জেআইএম