শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু
শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হয়েছে আজ। সনাতন ধর্মের অনুসারীদের শক্তির দেবী ও বাঙালির সার্বজনীন শারদোৎসবের সূচনা ঘটেছে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে।
আজ থেকে শুরু পাঁচ দিনের এ উৎসব শেষ হবে ৪ অক্টোবর শনিবার প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে। দেশের সর্বত্র শুরু হয়েছে শক্তির দেবীর আরাধনা ও উৎসবের আমেজ। হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় এ ধর্মীয় উৎসবকে ঘিরে দেশজুড়ে ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে বর্ণাঢ্য প্রস্তুতিও।
দুর্গোৎসব উপলক্ষে পৃথক বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া হিন্দু ধর্মাবলম্বীসহ দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
সনাতন বিশ্বাস ও পঞ্জিকামতে, জগতের মঙ্গল কামনায় দেবী দুর্গা এবার নৌকায় চড়ে মর্ত্যলোকে (পৃথিবী) আসবেন (আগমন)। যার ফল হচ্ছে শস্যবৃদ্ধি ও জলবৃদ্ধি। আর বিদায় নেবেন (গমন) দোলায় (পালকি) চড়ে। যার ফল হচ্ছে মড়ক।
এবার সারাদেশে প্রায় সাড়ে ২৮ হাজার পূজাম-প দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ। তবে সরকারি হিসাবে সারাদেশের প্রায় ২৮ হাজার ১শ`টি মন্ডপে পূজা হচ্ছে। ঢাকা মহানগরীতে এবার পূজার সংখ্যা ২১৬টি, যা গত বছরের তুলনায় দুটি বেশি।
শারদীয় দুর্গাপূজার প্রথম দিনে আজ ষষ্ঠীতে দশভুজা দেবী দুর্গার বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাস। ষষ্ঠী তিথিতে সকাল ৯টা ৫৮ মিনিটের মধ্যে দেবীর ষষ্ঠ্যাদি কল্পারম্ভ। সায়ংকালে বোধনের মাধ্যমে দক্ষিণায়নের নিদ্রিত দেবী দুর্গার নিদ্রা ভাঙার জন্য বন্দনা পূজা করা হবে। সেই সঙ্গে দেবীর আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্যদিয়ে শুরু হবে মূল দুর্গোৎসব।
আগামীকাল বুধবার মহাসপ্তমী, বৃহস্পতিবার মহাষ্টমী ও কুমারী পূজা। তিথি অনুযায়ী এবার শুক্রবার একই দিনে মহানবমী ও বিজয়া দশমী পড়েছে। তবে সারাদেশে শনিবার বিজয়া শোভাযাত্রা সহকারে প্রতিমা বিসর্জনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আবার বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকামতে শনিবার সকালে বিজয়া দশমী ও প্রতিমা বিসর্জন হওয়ায় রামকৃষ্ণ মিশন পূজাম-পসহ অনেক মন্দির ও পূজাম-প এই সময়সূচিই অনুসরণ করছে। এ হিসাবে বরাবরের মতো এবারও পাঁচদিনজুড়েই চলবে উৎসবের নানা আয়োজন।
দুর্গোৎসব চলাকালে পূজার প্রতিদিনই অঞ্জলি, প্রসাদ বিতরণ ও ভোগআরতির আয়োজন করা হবে। এ ছাড়া দেশজুড়ে দুর্গোৎসব চলাকালে মন্ডপে আলোকসজ্জা, আরতি প্রতিযোগিতা, স্বেচ্ছায় রক্তদান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা, নাটক, নৃত্যনাট্যসহ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হবে।