অনুমোদনহীন ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছে ৯ বিশ্ববিদ্যালয়


প্রকাশিত: ১২:৫১ পিএম, ২৯ জুলাই ২০১৫

দেশের ৯টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদনহীন ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছে বলে প্রমাণ পেয়েছে সংসদীয় কমিটি। ওই সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বলেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। কমিটি সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে দ্রুত নিজস্ব ক্যাম্পাসে যাওয়ার তাগিদ দিয়েছে।

বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয়েছে। সভাপতি অসুস্থ থাকায় এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সদস্য মো. আব্দুল কুদ্দুস। বৈঠকে কমিটির সদস্য শিক্ষা মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, জাহাঙ্গীর কবীর নানক, ছলিম উদ্দীন তরফদার, গোলাম মোস্তফা, এস এম আবুল কালাম আজাদ, মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ ও সেলিনা আক্তার বানু এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে মো. আব্দুল কুদ্দুস সাংবাদিকদের জানান, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) দেওয়া প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা হয়। এসময় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন হয়। বিশেষ করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদনহীন ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ইউজিসি জানিয়েছে, উচ্চ আদালতের দোহাই দিয়ে তারা এই কার্যক্রম চালাচ্ছে। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, দ্রুত সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে নিজস্ব ক্যাম্পাসে যেতে বলা হয়েছে। না গেলে ওই সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হবে।

বৈঠকে উত্থাপিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, অতীশ দীপংকর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, দি পিপলস ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (চট্টগ্রাম), ইবাইস ইউনিভার্সিটি ও আন্তর্জাতিক ইসলামিক ইউনিভার্সিটি (চট্টগ্রাম) উচ্চ আদালতের আদেশ নিয়ে অবৈধ ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, এ পর্যন্ত ৮৩টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেওয়া হলেও ৫টি শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি। সরকারের নির্ধারিত পরিমাণ জমিতে নিজস্ব ক্যাম্পাস রয়েছে মাত্র ১৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের। আর ৭টি বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্ট বা ফাউন্ডেশনের নামে জমিতে অবকাঠামো নির্মাণ করে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। নির্ধারিত পরিমাণ জমিতে আংশিক শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছে ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়। নিজস্ব ক্যাম্পাস নির্মাণ কাজ চলছে ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের। সরকার ও ইউজিসি সকল বিশ্ববিদ্যালয়কে আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়ার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে।

এইচএস/এসএইচএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।