ধর্ষণ রুখতে লাঠি ধরুন : মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:২৩ পিএম, ২৭ এপ্রিল ২০১৮

‘ধর্ষণ রুখতে লাঠি ধরুন। ধর্ষক ও নারী নির্যাতন রুখে দিতে পাড়া-মহল্লায় লাঠি নিয়ে প্রতিরোধ বাহিনী গড়ে তুলুন।’ দেশবাসীকে এমন আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শুক্রবার আয়োজিত এক সমাবেশে অংশ নিয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।

মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, প্রতিদিন শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ, গৃহিণীকে রাস্তা-ঘাটে, ঘরে-বন্দরে, এমনকি যানবাহনের ভেতরে যৌন নিপীড়ন করা হচ্ছে, হত্যা করা হচ্ছে। টুকরো টুকরো করে কেটে বস্তায় ভরে ফেলে দেয়া হচ্ছে। এসব ঘটনা বাড়ছে এবং ঘটনার বর্বরতাও দিন দিন বাড়ছে। এটা কিসের ফল? এটা হলো সমাজের ভেতরে নীতি-নৈতিকতার অবক্ষয়।

সেলিম বলেন, আতঙ্কের বিষয় হচ্ছে, কোথাও মা-বোনকে নিয়ে নিরাপদে চলতে পারবেন না। হায়েনার দলগুলো যেকোনো সময় হামলে পড়তে পারে। যথাযথ শাস্তির বিধান করে এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। সে কারণেই তারা পার পেয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, প্রতিবাদ ও বক্তৃতায় কোনো কাজ হবে না। আসল কাজ হলো আমাদের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। বিবেকবান সব মানুষদের আহ্বান জানাই, পাড়া-মহল্লা ও প্রতিষ্ঠানে আপনারা প্রতিরোধ বাহিনী গড়ে তুলুন। ধর্ষক ও নারী নির্যাতনকারীদের মোকাবিলার জন্য হাতে লাঠি নিয়ে পিকেট গড়ে তুলুন। তুমুল আন্দোলন ছাড়া দেশের এই অরাজকতা ও অন্ধকার থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব নয়।

তিনি বলেন,‘শাজাহান খান মন্ত্রী মহোদয়কে বলতে চাই- আপনার পরিবহন শ্রমিকের ভেতরে যারা হিংস্র কাজ করেছে তার বিরুদ্ধে একটা টু শব্দ কেন আপনার মুখ থেকে শুনতে পাচ্ছি না। কারণ, ইউনিয়ন রক্ষার জন্য আপনি কিছু কথা বলবেন না। কথা বললে পরে আপনার ইউনিয়ন টিকে থাকবে না। অপরাধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়ার নীতির পরিণতিতেই আমরা এসব দেখতে পাচ্ছি।’ বলেন সেলিম।

নারী নির্যাতন প্রতিরোধ সমাবেশটি আয়োজন করেন সিপিবির নারী সেল। নারী সেলের আহ্বায়ক লক্ষ্মী চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সিপিবি নেতা অধ্যাপক এ এন রাশেদা, মাকসুদা আক্তার লাইলী, লুনা নূর, শ্রমিক নেতা জলি তালুকদার, ছাত্র ইউনিয়নের নেতা কাজী রীতা ও সাবেক সভাপতি লাকী আক্তার প্রমুখ।

এএসএস/ওআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।