প্রজ্ঞাপন জারি না হলে আগামী মাস থেকে ফের আন্দোলনের হুমকি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে কোটা বাতিলের যে ঘোষণা দিয়েছেন তা চলতি মাসের মধ্যে প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দাবি না মানলে আগামী মাস থেকে ফের আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা।
বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি দেয় কোটা সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটি।
এছাড়া শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক অজ্ঞাতনামা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারেরও দাবি জানায় আন্দোলনকারীরা।
এসময় গত ২১ এপ্রিল দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকায় আন্দোলনকারীদের নিয়ে প্রকাশিত সংবাদকে ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট’ দাবি করে এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিকেল ৫টার মধ্যে প্রকাশিত সংবাদের জন্য ক্ষমা না চাইলে ছাত্রসমাজ পত্রিকাটি বর্জন করবে বলে ঘোষণা দেন আন্দোলনকারী সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক বিন ইয়ামিন।
আন্দোলনকারী সংগঠনের অপর যুগ্ম-আহ্বায়ক ফারুক হোসেন বলেন, নিয়মানুযায়ী সংসদে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার দুই-তিনদিনের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ার কথা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর ব্যস্ততার কারণে সেটি একটু দেরি হচ্ছে। তবে চলতি মাসের মধ্যে এই প্রজ্ঞাপন জারি না হলে আগামী মাস থেকে সারা দেশের ছাত্রসমাজ আবারও আন্দোলনে নামবে।
য্গ্মু-আহ্বায়ক নুরুল হক নূর বলেন, ঢাবির উপাচার্যের বাসভবনে যারা হামলা চালিয়েছে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নয়। তারা বহিরাগত। তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এ হামলা চালিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তিনি।
তিনি বলেন, আন্দোলনকারীদের যেন কোনোভাবে হয়ারনি করা না হয় সে বিষয়ে আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাই। এছাড়া আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য ছাত্র-শিক্ষকদের নিয়ে আগামী ৩০ এপ্রিল সকল বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজে আলোচনা ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি।
আন্দোলনকারীদের অন্যতম যুগ্ম-আহ্বায়ক বিন ইয়ামিন বলেন, ২১ এপ্রিল জনকণ্ঠ পত্রিকা ‘টার্গেট সরকার পতন, গুলি চালিয়ে মৃত্যুর গুজব’ একটা নিউজ করে। যেটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, বানোয়াট। আন্দোলনকে ভিন্নখাতে নেয়ার চেষ্টা। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। পত্রিকাটি যদি আজ বিকেল ৫টার মধ্যে এই নিউজের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা না করে তাহলে ছাত্র সমাজ তাদের বর্জন করবে।
বিন ইয়ামিন আরও বলেন, গত ৮ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যারা পিস্তল, চাপাতি, রড ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এসেছিল এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে তাদের ইচ্ছে ছিল ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করে সরকার পতনের চেষ্টা করেছে। তারা একজন শিক্ষার্থীকে গুলিবিদ্ধ ও অনেককে আহত করেছে।
ওই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান বিন ইয়ামিন। অজ্ঞাতনামা মামলা দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের যেন হয়রানি না করা হয় সে দাবিও করেন তিনি।
এমএইচ/এমবিআর/আরআইপি