পা হারানো রোজিনা এখন ঢামেকে

ঢামেক প্রতিবেদক
ঢামেক প্রতিবেদক ঢামেক প্রতিবেদক ঢাকা মেডিকেল
প্রকাশিত: ০৩:০৩ পিএম, ২৫ এপ্রিল ২০১৮

রাজধানীর বনানীতে বিআরটিসি গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে পা হারানো রোজিনাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের হাই ডিফেন্সিভ ইউনিটে (এইচডিএই) নেয়া হয়েছে।

বুধবার দুপুর ১টার দিকে তাকে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল (পঙ্গু হাসপাতাল) থেকে ঢামেকে স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, রোজিনা মোটামুটি ভালো আছেন। তবে তার ডান পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ায় অন্যকোনো ফ্র্যাকচার (ভাঙ্গা বা ক্ষত) আছে কিনা, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে।

ঢামেকের বার্ন ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, পঙ্গু হাসপাতাল থেকে তাকে এখানে স্থানান্তর করা হয়েছে।

‘তাদের মনে হয়েছে, রোজিনার অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে, তাই এখানে পাঠিয়েছে। তবে তাকে দেখে মনে হয়েছে, তার অবস্থা স্থিতিশীল। তার চিকিৎসায় আগামীকাল সকালে মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হবে। তারপর বলা যাবে তার শরীরিক কোনো সমস্যা আছে কিনা। তবে তার পায়ে একটা প্লাস্টিক সার্জারি করা লাগতে পারে।’

jagonews24

প্রসঙ্গত, ঢাকায় দুই বাসের রেষারেষিতে হাত হারিয়ে কলেজছাত্র রাজীবের মৃত্যুর পর সপ্তাহ না যেতেই বাসের চাপায় পা হারান রোজিনা (২১)। পরে তাকে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) ভর্তি করা হয়।

সাংবাদিক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজার বাসায় কাজ করতেন রোজিনা। তার ডান পা উরু থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলে ইশতিয়াক রেজা ওই সময় জানান। মহাখালীতে এক আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে গিয়ে তিনি দুর্ঘটনায় পতিত হন।

গুলশান থানার ওসি ফরমান আলী জানান, ওই তরুণী ফুটপাত থেকে নেমে রাস্তা পার হচ্ছিলেন। এ সময় মহাখালী থেকে কাকলীমুখী বিআরটিসির একটি দ্বিতল বাস তাকে ধাক্কা দেয়। পুলিশ সদস্যরা উদ্ধার করে ওই নারীকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

বিআরটিসির ওই বাস এবং তার চালক শফিকুলকে আটক করা হয়েছে। পরে বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ রোজিনার চিকিৎসার দায়িত্ব নেয়।

গত ৩ এপ্রিল কারওয়ানবাজার মোড়ে বিআরটিসি ও স্বজন পরিবহনের দুই বাসের প্রতিযোগিতার মধ্যে এক হাত হারান তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজীব হোসেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরে তার মৃত্যু হয়।

এসএইচ/এমএআর/এসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।