দশ অঞ্চলে বিভক্ত ঢাকার দুই সিটির নতুন ৩৬ ওয়ার্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:৪১ পিএম, ২৫ এপ্রিল ২০১৮

দৈনন্দিন ও অন্যান্য সেবামূলক কার্যক্রম নিশ্চিতে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সম্প্রসারিত অংশে নবগঠিত ৩৬টি ওয়ার্ডকে দশটি অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়েছে। সম্প্রতি স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত সরকারি আদেশ জারি করা হয়।

আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন-২০০৯’ এর ক্ষমতাবলে সরকার ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) দৈনন্দিন এবং অন্যান্য সেবামূলক কাজ পরিচালনা নিশ্চিতে এর আওতাধীন সম্প্রসারিত অংশের ওয়ার্ডগুলোকে দশটি অঞ্চলে বিভক্ত করা হল।

এর মধ্যে উত্তর সিটি কর্পোরেশনে ৫১, ৫২, ৫৩, ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড অঞ্চল-৬; ৪৭, ৪৮, ৪৯, ৫০ নম্বর ওয়ার্ড অঞ্চল-৭; ৪৪, ৪৫, ৪৬ নম্বর ওয়ার্ড অঞ্চল-৮; ৩৯, ৪০, ৪৩ নম্বর ওয়ার্ড অঞ্চল-৯ এবং ৩৭, ৩৮, ৪১, ৪২ নম্বর ওয়ার্ড অঞ্চল-১০ এ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

অপরদিকে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ৭৩, ৭৪ ও ৭৫ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে অঞ্চল-৬; ৭০, ৭১ ও ৭২ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে অঞ্চল-৭; ৬৬, ৬৭, ৬৮ ও ৬৯ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে অঞ্চল-৮; ৬২, ৬৩, ৬৪ ও ৬৫ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে অঞ্চল-৯ এবং ৫৮, ৫৯, ৬০ ও ৬১ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে অঞ্চল-১০ গঠন করা হয়েছে।

অঞ্চলগুলোর কাজের মধ্যে রয়েছে- সাধারণ প্রশাসন হিসেবে প্রশাসনিক কাজ, হিসাবরক্ষণ (কর্মচারীদের বেতন, অফিস পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত খরচ), জোনের যানবাহন নিয়ন্ত্রণ, সমাজকল্যাণ (কমিউনিটি সেন্টার, পার্ক, পাঠাগার, জিমনেশিয়াম, পাবলিক টয়লেট, শিশুকেন্দ্র, কবরস্থান, শ্বশানঘাট, ইত্যাদি)।

এছাড়া পূর্তকাজ ও রক্ষণাবেক্ষণ, বৈদ্যুতিক কাজ ও রক্ষণাবেক্ষণ, প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা, সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি, দাতব্য চিকিৎসালয়, ভেজাল খাদ্য নিয়ন্ত্রণ, স্যানিটেশন, ভেটেরিনারি কার্যক্রম, কসাইখানা ব্যবস্থাপনা, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, মশক নিয়ন্ত্রণ, আবর্জনা পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, স্যানিটারি ল্যান্ড ফিলিং, ডাম্পিং গ্রাউন্ড রক্ষণাবেক্ষণ, পৌরকর নির্ধারণ ও আদায়, লাইসেন্স প্রদান ও ফিস আদায়, বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত কাজ অঞ্চলগুলোর উপর ন্যস্ত করা হয়েছে।

একই সঙ্গে অঞ্চলগুলো বস্তি উন্নয়নের অংশ হিসেবে ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন, পানীয় জল ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা আত্ম-কর্মসংস্থানে সহায়তা প্রদান, উদ্বুদ্ধকরণ ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে।

২০১৬ সালের ৯ মে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটিতে (নিকার) ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে ৮টি করে ইউনিয়ন যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

পরে গত বছরের ৩০ জুলাই ডিএসসিসির শ্যামপুর, দনিয়া, মাতুয়াইল, সারুলিয়া, ডেমরা, মান্ডা, দক্ষিণগাঁও ও নাসিরাবাদ ইউনিয়নকে ৫৮, ৫৯, ৬০, ৬১, ৬২, ৬৩, ৬৪, ৬৫, ৬৬, ৬৭, ৬৮, ৬৯, ৭০, ৭১, ৭২, ৭৩, ৭৪ ও ৭৫ নম্বর ওয়ার্ডে বিভক্ত করা হয়।

অপরদিকে ডিএনসিসি) অন্তর্ভুক্ত বাড্ডা, ভাটারা, সাতারকুল, বেরাঈদ, ডুমনি, উত্তরখান, দক্ষিণখান ও হরিরামপুর ইউনিয়নকে ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০, ৪১, ৪২, ৪৩, ৪৪, ৪৫, ৪৬, ৪৭, ৪৮, ৪৯, ৫০, ৫১, ৫২, ৫৩ ও ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডে বিভক্ত করা হয়।

আরএমএম/এমএমজেড/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।