‘মা অসুস্থ, দয়া করে সাহায্য করুন’

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৮:১৮ পিএম, ২৩ এপ্রিল ২০১৮

রোববার, বিকেল সাড়ে ৪টা। নিউমার্কেটের এক নম্বর গেট থেকে নীলক্ষেত মোড় পর্যন্ত ব্যাপক যানজট। প্রাইভেট কার, রিকশা, সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল আরোহীরা রোদে দাঁড়িয়ে। অদূরে সিগন্যাল বাতির দিকে সবার দৃষ্টি।

সিগন্যাল বাতি কয়েকবার সবুজ সংকেত দেখালেও ইডেন কলেজ থেকে ঢাকা কলেজগামী রাস্তায় যানবাহনের ভিড় বেশি থাকায় যানবাহন কোন দিকে যাচ্ছিলো না।

যানজটের মধ্যে মধ্যবয়সী এক ব্যক্তি ছোট্ট একটি শিশুকে কোলে নিয়ে সাহায্য চাচ্ছিল। স্কার্ফ দিয়ে ঢাকা ছোট্ট মেয়েটির হাতে কাগজে লেখা একটি প্লাকার্ড। লেখা আছে আমার মা অসুস্থ, দয়া করে মায়ের চিকিৎসার জন্য সাহায্য করুন।

প্রচণ্ড গরমে মেয়েটি হাঁপাচ্ছিল। শিশুটির বাবা সবার সামনে গিয়ে বার বার গরিব মানুষ, চিকিৎসার লাইগ্যা (জন্য) কিছু সাহায্য করুন বলছিলেন। ছোট শিশুটির মুখের দিকে তাকিয়ে কেউ কেউ পাঁচ, দশ টাকা সাহায্য করছিলো। আবার কেউ কেউ বাঁকা চোখে সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকাচ্ছিল।

media

এ প্রতিবেদকের প্রশ্নের জবাবে চাঁদনি ওরফে নদী নামের শিশুটির বাবা জানায়, ভিক্ষাবৃত্তি তার পেশা নয়। ঘরে পা ভেঙে পঙ্গু হয়ে বসে আছে তার স্ত্রী। স্ত্রীর অসুস্থতায় মেয়েকে দেখার কেউ নেই। তাই মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে কিছু আর্থিক সাহায্য সংগ্রহের জন্য যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালী থেকে পায়ে হেঁটে এসেছেন।

তবে সিগনালে অপেক্ষমান অনেকেই বলেন, নগরীর বিভিন্ন স্থানে ভিক্ষার বিকল্প হিসেবে মসজিদ, মাদরাসা ও বাবা-মা ভাই-বোনের অসুস্থতা দেখিয়ে সাহায্য নেয়ার প্রবণতা বেড়ে চলেছে। এক্ষেত্রে কৌঁশল হিসেবে শিশুদেরকে সামনে রেখে সাহায্য চাওয়া হয়। আল্লাহর রাস্তায় দান করছেন কিংবা শিশুদের মুখে দিকে তাকিয়ে অনেকেই সাহায্য করছেন বলে জানান।

এমইউ/এমআরএম/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।