সার্ক সাংস্কৃতিক রাজধানী : তিন শহর প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, ২০১৬ সালে বাংলাদেশে সার্ক সাংস্কৃতিক রাজধানী করার জন্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে কুমিল্লা, কুষ্টিয়া ও বগুড়াকে নির্বাচন করা হয়েছে।
মন্ত্রী মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে সার্কের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০১৬ সালে বাংলাদেশের একটি শহরকে ’সার্ক’ সাংস্কৃতিক রাজধানী (সার্ক কালচারাল ক্যাপিটাল) ঘোষণার বিষয়ে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভার সভাপতিত্বকালে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সার্ক কালচারাল রাজধানী হিসেবে বাংলাদেশের একটি স্থানকে নির্বাচিত করা হলে বহিঃবিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি যেমন উজ্জ্বল হবে তেমনি আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও কৃষ্টিকে বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরার ক্ষেত্র তৈরি হবে।
সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, সার্ক সাংস্কৃতিক রাজধানীর স্থান নির্বাচনের জন্য সার্ক কালচারাল সেন্টার শ্রীলংকার দুই সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বুধবার থেকে পরবর্তী তিনদিন ময়নামতি, মহস্থানগড়, পাহাড়পুর ও শিলাইদহ সফর করে এসব স্থানের মধ্যে একটি স্থানকে সাংস্কৃতিক রাজধানী করার বিষয়ে সুপারিশ করবেন। সেখান থেকে নানা যাচাই-বাছাইয়ের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি সাপেক্ষে আগামী ২০১৬ সালের জন্য সেই স্থানটিকে সার্ক সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করা হবে।
এজন্য মাসাধিককাল সময় লাগতে পারে বলে জানান তিনি। এদিনের বৈঠকটিকে প্রারম্ভিক বৈঠক আখ্যায়িত করে তিনি এজন্য আরো বেশ কয়েকটি নিয়োমিত বৈঠক অনুষ্ঠানের পরই এ বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা মিডিয়াতে প্রকাশ করা হবে বলেও উল্লেখ করেন।
বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে অংশগ্রহণ করেন- সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব আকতারী মমতাজ, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, জাতীয় যাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ, সোনারগাঁও এর ফোক আর্ট অ্যান্ড ক্রাফট ফাউন্ডেশনের রবীন্দ্র গোপ প্রমুখ।
উল্লেখ্য,গত বছরের ২৪ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত সার্ক সংস্কৃতিমন্ত্রী এবং সিনিয়র কর্মকর্তাদের সভায় বাংলাদেশের একটি শহরকে ২০১৬ সালে সার্ক সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে ঘোষণার সিদ্ধান্ত হয়।
এর আগে, ২০১৪ সালের ৬ ও ৭ সেপ্টেম্বর শ্রীলংকার কলম্বোতে অনুষ্ঠিত সার্ক কালচারাল সেন্টারের পরিচালনা পর্ষদের ৬ষ্ঠ বৈঠকে এ বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছিলো।
এসএইচএস/আরআইপি