৩ ঘণ্টায় নষ্ট সিম্ফনির নতুন স্মার্টফোন
বসুন্ধরা শপিং মলের একটি দোকান থেকে সিম্ফনির ভি-৪৬ মডেলের একটি স্মার্টফোন কিনেন এস এম ফয়েজ। হ্যান্ডসেটটি কেনার ৩ ঘণ্টার মধ্যে হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। বন্ধ হওয়ার ৩০ মিনিট পর এলসিডি সাদা হয়ে যায়, বার বার লাফাতে থাকে। সমস্যা সমাধানে বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সের সিম্ফনি কাস্টমার কেয়ারে সেটটি নিয়ে গেলে প্রথমে পরিবর্তন করে দেয়ার কথা বললেও পরে মেরামত করে দেয়ার কথা বলে, প্রতিবাদ করলে দুর্ব্যবহার করেন তারা।
শুক্রবার ক্রেতা এস এম ফয়েজ জাগো নিউজকে বলেন, গত ৫ এপ্রিল বসুন্ধরার একটি দোকান থেকে হ্যান্ডসেটটি কিনে বক্স থেকে বের করার ৩ ঘণ্টার মাথায় হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। প্রথমে ভেবেছিলাম পকেটে চাপ খেয়ে বন্ধ হয়ে গেছে। পরে ব্যাটারি খুলে আবারও মোবাইলটি চালুর চেষ্টা করি, কিন্তু চালু হয়নি। বন্ধ হওয়ার ৩০ মিনিট পর স্কিন সাদা হয়ে যায়। বার বার লাফাতে থাকে। মোবাইলটি নিয়ে কাস্টমার কেয়ারে গেলে প্রথমে সেটটি পরিবর্তনের কথা বললেও পরে বলা হয় সেটিই ঠিক করে দেয়া হচ্ছে। সেট পরিবর্তনের সুযোগ নেই।
তিনি আরও বলেন, আমি কাস্টমার কেয়ারের কাছে জানতে চাই নতুন সেটের টাকা নিয়ে মেরামত করা সেট কেন নেবো? নতুন সেট না দিলে আমি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মামলা করব বলে জানাই। জবাবে কাস্টমার কেয়ারের এক প্রতিনিধি জানায়, ‘অভিযোগ করে লাভ নেই। কিছু হবে না। এগুলো কোনো বিষয় না। কত ক্রেতার সঙ্গে এমন হল তারা কিছু বললো না, আপনি সাংবাদিক দেখে এমন করছেন।’
তিনি বলেন, শুধু নষ্ট সেট না, পাশাপাশি আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও তাচ্ছিল্য করে কথা বলে। ফেসবুকে আমার পোস্ট দেখে রূপক নামে সিম্ফনির একজন কর্মকর্তা ফোন দিয়ে নতুন সেট দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন, মামলা করতে নিষেধ করেন। তবে শিগগিরই ভোক্তা অধিকার অধিদফতরে মামলা করব।
সিম্ফনি সেটের মান ও কাস্টমার কেয়ারের দুর্ব্যবহারের বিষয়ে এডিসন গ্রুপের (সিম্ফনি) গণসংযোগ কর্মকর্তা মাহমুদ আইয়ুব রূপক জাগো নিউজকে বলেন, ‘এ বিষয়ে ফয়েজের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে, আপনি তার সঙ্গে কথা বলেন।’ এরপরই তিনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরবর্তীতে তার নম্বরে আবার ফোন দিলে কেটে দেন।
এর আগে ২০১৭ সালে পুরান ঢাকায় সোয়েব উল্লাহ নামে এক ক্রেতার সিম্ফনি ডব্লি৬৯কিউ (W69Q) সেটের ব্যাটারিতে হঠাৎ আগুন ধরে যায়। এতে তার চাঁদরের কিছু অংশ পুড়ে যায়। বিষয়টি সিম্ফনিকে জানালে প্রথমে সোয়েবকে মোবাইল ফোন দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। এর কয়েকদিন পর সোয়েবকে ফোন করে হেনস্তা করেন রূপক। তাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন। তবে ঘটনার এক মাস অতিবাহিত হওয়ায় ভোক্তা অধিকার অধিদফতরে মামলা করতে পারেনি ওই ক্রেতা।
এআর/জেএইচ/পিআর