সরকারের উদাসীনতায় বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা


প্রকাশিত: ১২:২৩ পিএম, ২৮ জুলাই ২০১৫
ফাইল ছবি

সরকারের উদাসীনতায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। আর সড়ক-মহাসড়কে দুর্ঘটনার অশুভ শক্তি এখন যেন আমাদের ঘাড়ে প্রতিনিয়তই নিঃশ্বাস ফেলছে। যেভাবে সড়ক-মহাসড়ক, নৌ-রেলপথে মৃত্যুর মিছিল দিনদিন বেড়ে চলেছে তাতে আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা যেন একটি মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে বলে এক মানববন্ধন সমাবেশ থেকে জানানো হয়।  

মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সড়ক, রেল ও নৌ পথে চলাচলে মৃত্যুঝুঁকি এড়াতে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার প্রতিবাদে নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সমাবেশ আয়োজন করা হয়।

সংগঠনটির ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট সুলতান মাহমুদ বান্নার সভাপতিত্বে
সংঠনের চেয়ারম্যান ইবনুল সাঈদ রানার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের ন্যাশনাল অ্যাডভোকেসি অফিসার সৈয়দা অনন্যা রহমান। ১১ টি সংগঠনের প্রতিনিধিরা এসময় বক্তব্য রাখেন।

সমাবেশে জানানো হয়- এবারের ঈদের ছুটিতে গত ১০ দিনে প্রায় ২০০ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২৪২ জনের। প্রতিদিন গড়ে মৃত্যুবরণ করেছে ২৪ জনেরও বেশি। ঈদ এলেই দেশে সড়ক দুর্ঘটনা প্রকট আকার ধারণ করে। প্রতি বছর ঈদের সময়েই সড়ক-মহাসড়ক দাঁপায়ে বেড়ায় ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও অদক্ষ চালক দিয়ে চলে অল্প সময়ে অধিক মুনাফা লাভের প্রতিযোগিতা।

ফলে ঈদ বা বিভিন্ন উৎসব আমেজের আগে-পরে মহাসড়কের কালো পিচ লাল হয়ে যায় দুর্ঘটনায় আহত-নিহতের রক্তে। ২০১১ সালে সংসদীয় কমিটির কাছে বিআরটিএ’র প্রতিবেদনে দেখা যায়, ১৯৯৪ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ১৭ বছরে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৭০ হাজার ৫০৭টি। কেড়ে নিয়েছে ৫০ হাজারের বেশি মানুষের জীবন। প্রতি বছর গড়ে ৪ হাজার মানুষ নিহত হচ্ছে। আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করছে নিহত সংখ্যার তিনগুণ। কর্মহীন হয়ে পড়ছে লক্ষ লক্ষ মানুষ।

২০০৮ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় মামলা হয়েছিল ৪ হাজার ৪২৬টি, যার আসামি ছিল ৪ হাজার ৪৩৬ জন। এর মধ্যে ৪ হাজার ২৮০ জনই গাড়ি চালক, এ সমস্ত মামলায় একজন আসামিরও কোন সাজা হয়নি।

এসময় বক্তরা সরকারের কাছে সকল মহাসড়ক ৪ লেনের করার পাশাপাশি যথাযথভাবে সংস্কার করার দাবি জানান। এছাড়া যত্রতত্র ওভারটেকিং নিষিদ্ধ করা, মহাসড়কে যত্রযত্র পরিবহন থামিয়ে যাত্রী ওঠা-নামা না করা এবং পর্যাপ্ত পার্কিং-বে বা বাস স্ট্যান্ডে পর্যাপ্ত গাড়ি দাঁড়ানোর জায়গা করা হোক। আর দূরপাল্লার যানবাহনে ২ জন করে চালক ও হেলপার থাকা, মহাসড়কে রিকশা-ভ্যান-থ্রি হুইলার-অটো ইত্যাদি পরিবহন নিষিদ্ধ করা হোক।  

এছাড়া এ সমস্ত যানবাহনের জন্য পৃথক লেন তৈরি করা, কঠোর আইন প্রণয়েনর মাধ্যমে দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি প্রদান, বাস মালিক ও চালকদের মানসিকতারও পরিবর্তন করা দরকার বলে জানান তারা।

এইচএস/এসএইচএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।