বৈশাখী ভাতা পেয়ে উচ্ছ্বসিত সরকারি কর্মকর্তারা
গ্রাম পেরিয়ে শহরেও এখন বাংলা বর্ষবরণ উৎসব রঙিন হয়ে উঠেছে। উৎসবের দিনটিকে আরও আনন্দমুখর করতে সরকারি কার্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য দুই বছর আগে নববর্ষ ভাতা চালু করেছে সরকার। এরপর বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এ ভাতা দেয়া শুরু করে।
উৎসবমুখর দিনটিকে ঘিরে এ বছর বৈশাখী ভাতা পেয়ে সরকারি কর্মকর্তারা উচ্ছ্বসিত। কয়েকজন কর্মকর্তা তাদের উচ্ছ্বাসের কথা জাগো নিউজের এ প্রতিবেদকের নিকট ব্যক্তও করেছেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আব্দুল লতিফ বকসী জাগো নিউজকে বলেন, বৈশাখী ভাতার পরিমাণটা হয়তো খুব বেশি নয়। কিন্তু উৎসাহবোধটাই বড় জিনিস। এ আয়োজনে বিশেষ ভাতা একজন কর্মকর্তাকে অনুপ্রাণিত করে। আমরা সরকারি চাকরি করায় বাইরে যাওয়ার সময় তেমন পাই না। তবে এদিনে পারিবারের সবাইকে নিয়ে বাসার বাইরে বের হই।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে উৎসব ভাতা হতে পেয়েছি। পরিবারের কয়েকজনের জন্য হলকা কেনাকাটাও করেছি। আর পহেলা বৈশাখে সপরিবারে বাইরে বেড়ানোর বিষয়ে ভাবছি। এখন সরকার ভাতা দেয়ায় আমি যদি সেদিন বাইরে যেতে নাও চাই তাতেও কাজ হবে না। কেননা পরিবারের লোকজন বলা শুরু করেছে, ভাতা পেয়েছ এটা দিয়ে উৎসব উদযাপন করব। আসলে আমার মনে হয় এ ভাতা পহেলা বৈশাখের উৎসবটাকে আরও রঙিন করে তুলেছে।
আবুল বাশার নামের অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, উৎসবকে কেন্দ্র করে পরিবারের কিছু বাড়তি চাহিদা তৈরি হয়। ভাতা পেয়ে কিছুটা হলেও সে চাহিদা পূরণ করেতে পেরে বেশ ভালো লাগে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক যুগ্ম সচিব নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সবাই বৈশাখী ভাতা পাচ্ছে- এটা খুব ভালো লাগার বিষয়। তবে এখনও অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বৈশাখী ভাতা দেয় না। ফলে সার্বিকভাবে একটা বৈষম্য সৃষ্টি হচ্ছে। আমার মনে হয় সব প্রতিষ্ঠানের উচিত এ ভাতা প্রদান করা। তাহলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে কর্মস্পৃহা বাড়বে। এতে প্রতিষ্ঠানই উপকৃত হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর ঘোষিত জাতীয় বেতন কাঠামোতে প্রথমবারের মতো বাংলা নববর্ষ ভাতা চালু হয়। এটি কার্যকর ধরা হয় ওই বছরের পহেলা জুলাই থেকে। সে অনুযায়ী সরকারি কর্মচারীরা মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাংলা নববর্ষ ভাতা পেয়ে আসছেন। পাশাপাশি কিছু সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক, আর্থিকপ্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও এ ভাতা দিয়ে আসছে।
এমইউএইচ/এএইচ/পিআর