টাওয়ার ও পাইলটের মধ্যে কার্যকর যোগাযোগ ছিল না : তদন্ত প্রতিবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:১১ পিএম, ১১ এপ্রিল ২০১৮

নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিএস-২১১ ফ্লাইট বিধ্বস্তের প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। সম্প্রতি নেপালের ‘এয়ারক্রাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন কমিশন’ এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, টাওয়ার আর ককপিটের মধ্যে ৪৭ সেকেন্ড কোনো কার্যকর যোগাযোগ ছিল না।

প্রতিবেদনে বিমান বিধ্বস্তের সময় ‘২টা ১৯ মিনিট ১০ সেকেন্ড’ উল্লেখ করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের ‘কমিউনিকেশনস’ প্যারায় বলা হয়েছে, ‘দুপুর ২টা ১৭ মিনিট ৫৮ সেকেন্ড পর্যন্ত ককপিট ও টাওয়ার কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ স্বাভাবিক ছিল কিন্তু এরপর থেকে ২টা ১৮ মিনিট ৪৫ সেকন্ড পর্যন্ত টাওয়ার আর ককপিটের মধ্যে কোনো কার্যকর যোগাযোগ ছিল না।’

এর ২৫ সেকেন্ড পরই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য অনুযায়ী, বিমানটি বিধ্বস্তের সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধারকর্মী, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে আহতদের উদ্ধার করে। তদন্ত অনুযায়ী উদ্ধারকর্মীরা ঘটনার দুই মিনিটের মধ্যে এসে ৪টি বড় ফোম টেন্ডার, ১টি মাঝারি সাইজের ফোম টেন্ডার ও দুই টাংকি পানি ব্যবহার করে।

তবুও বিধ্বস্ত বিমানটির ‘অধিকাংশ অংশ পুড়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে’ বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে জানানো হয়েছে, বিমানটি থেকে উদ্ধারকৃত যন্ত্রপাতি, ককপিট ভয়েস রেকর্ডার, ব্ল্যাকবক্সসহ কয়েকটি আলামত সংগ্রহ করে পরীক্ষা করতে কানাডা পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ নেপালে ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় ৫১ জন নিহত হন। এদের মধ্যে ২৬ জন বাংলাদেশি। আহত হন আরও ১০ বাংলাদেশি।

এআর/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।