ভোটার তালিকা হালনাগাদ : দুর্গম এলাকায় বাড়তি সতর্কতা
চলতি সপ্তাহে দেশব্যাপী শুরু হওয়া ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে ৪৭টি দুর্গম এলাকা চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। উপকূলীয় ও পার্বত্য এলাকাসহ ১৬ জেলার এ ৪৭টি চিহ্নিত উপজেলায় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এসব উপজেলায় গোয়েন্দা নজরদারিসহ উপজেলায় তথ্য সংগ্রহকারীদের যোগাযোগের জন্য বিশেষ সুবিধা দেবে ইসি। স্বচ্ছ ও নির্ভুল ভোটার তালিকা নিশ্চিত করতে রোববার এসব সিদ্ধান্ত হয় বলে জানা যায়।
সূত্র জানায়, ৪৭টি দুর্গম এলাকার মধ্যে উপকূলীয়সহ অন্যান্য ১৩ জেলার ২২ উপজেলা রয়েছে। এছাড়া পার্বত্য তিন জেলার ২৫টি উপজেলাকে দুর্গম হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ১৩ জেলার ২২ দুর্গম উপজেলা হচ্ছে- ভোলার মনপুরা, খুলনার কয়রা, নোয়াখালীর হাতিয়া, চট্টগ্রামের স্বদীপ, কক্সবাজারের মহেশখালী ও কুতুবদিয়া, সুনামগঞ্জের দোয়ারা বাজার, ধর্মপাশা, শাল্লা, বিশম্ভরপুর, তাহিরপুর, সিরাজগঞ্জের চৌহালী, হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ, কিশোরগঞ্জের ইটনা, মিঠামাইন ও অষ্টগ্রাম, নেত্রকোনার দুর্গাপুর ও বালিয়াজুরি, পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী, কুড়িগ্রামের রৌমারী ও রাজীবপুর, কুমিল্লার মেঘনা উপজেলা।
পার্বত্য তিন জেলার ২৫ দুর্গম উপজেলা হচ্ছে- বান্দরবান জেলার বান্দরবান সদর, রোয়াংছড়ি, নাইক্ষ্যংছড়ি, রুমা, থানচি, লামা ও আলীকদম; খাগড়াছড়ি জেলার খাগড়াছড়ি সদর, দীঘিনালা, লক্ষীছড়ি, মাটিরাঙ্গা, মানিকছড়ি, রামগড়, পানছড়ি ও মহালছড়ি এবং রাঙ্গামাটি জেলার রাঙ্গামাটি সদর, বাঘাইছড়ি, কাপ্তাই, কাউখালী, নানিয়ারচর, জুরাছড়ি, লংগদু, বরকল, বিলাইছড়ি ও রাজস্থলী উপজেলা।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, কমিশনের চিহ্নিত দুর্গম এলাকাগুলোয় প্রকৃত ও যোগ্যদের ভোটার করতে বাড়তি নজর রাখা হবে। বহিরাগত বা কোনো অনুপ্রবেশকারী যাতে ভোটার হতে না পারে সেজন্য কড়া নজরদারি থাকবে। এছাড়া দুর্গম এলাকা হওয়ায় তথ্য সংগ্রহকারীদের তথ্য সংগ্রহের সুবিধার্থে ইসি থেকে যোগাযোগ সুবিধা ও ভাতা প্রদান করা হবে যাতে বাংলাদেশের প্রতিটি যোগ্য নাগরিক নিবন্ধনের আওতায় আসে।
জানা যায়, ২০১২ ও ২০১৪ সালের হালনাগাদে উপকূলীয়, সীমান্তবর্তী ও পাহাড়ি এলাকার ৬৪ উপজেলাকে দুর্গম এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। তবে এবার যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ নানা দিক বিচার করে ৪৭টি এলাকাকে দুর্গম হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এদিকে ২৬ জুলাই শনিবার থেকে সারাদেশে ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু হয়েছে। এ হালনাগাদে ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারির মধ্যে যারা ভোটারযোগ্য হচ্ছে, তাদের তথ্য সংগ্রহ করে করা হচ্ছে। যাদের জন্ম ২০০০ সালের ১ জানুয়ারি বা এর আগে, তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এবারই প্রথম যাদের বয়স ১৫ থেকে ১৭ বছর হয়েছে, সেসব নাগরিকের তথ্যও সংগ্রহ করবে কমিশন। এ হালনাগাদে ৭২ লাখ নতুন ভোটারযোগ্য নাগরিককে নিবন্ধননের আওতায় আসতে পারে।
এইচএস/আরএস/আরআইপি