ঢাকায় ১৭১ একর জমিতে পুকুর খনন

মামুন আব্দুল্লাহ মামুন আব্দুল্লাহ
প্রকাশিত: ০৬:০৪ পিএম, ০২ এপ্রিল ২০১৮

রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসনে ১৭১ একর এলাকাজুড়ে পুকুর খনন করা হবে। এজন্য ব্যয় হবে ৪৫৬ কোটি টাকা। চলতি বছর থেকে ২০২০ সাল নাগাদ এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে। সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন থেকে এ অর্থ বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে।

পরিকল্পনা কমিশনে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এই সংক্রান্ত এক প্রকল্প প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। এর নাম দেয়া হয়েছে, কল্যাণপুর স্টর্ম ওয়াটার পাম্প স্টেশন সংলগ্ন রেগুলেটিং পন্ড সংরক্ষণ (ফেস-২)। এতে বলা হয়েছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন অধিভুক্ত ধানমন্ডি এলাকা এবং উত্তর সিটি করপোরেশন অধিভুক্ত মোহাম্মদপুর, শ্যামলী, শের-ই বাংলা নগর, দারুস সালাম ও মিরপুর থানা এলাকায় এসব পুকর খনন করা হবে।

প্রকল্পের বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, বর্ষা এলেই অল্প বৃষ্টিতে নগরীর রাস্তাঘাট ডুবে যায়। ভোগান্তিতে পড়ে নগরবাসী। নগরীর এ জলাবদ্ধতা নিরসনে নেয়া হচ্ছে ‘কল্যাণপুর স্টর্ম ওয়াটার পাম্প স্টেশন সংলগ্ন রেগুলেটিং পন্ড সংরক্ষণ’শীর্ষক প্রকল্পটি। প্রকল্পটির আওতায় স্টর্ম ওয়াটার স্টেশনের ক্যাচমেন্ট এরিয়ায় ১৭১ একর জমিতে পুকুর খনন করা হবে। বৃষ্টির পানি সেখানে গিয়ে জমা হবে। সেই পানি পাম্পের সাহায্যে সঙ্গে সঙ্গে সেঁচে ফেলে দেয়া হবে নদীতে। ফলে বৃষ্টি হলেও নগরীর কোনো রাস্তায় আর পানিতে ডুববে না।

এর আগে প্রকল্পটি নানা কারণে ফেরত পাঠায় পরিকল্পনা কমিশন। তখন কাগজপত্রসহ বেশ কিছু সমস্যা ছিল। পরে তা সংশোধন করে এলজিইডির পক্ষ থেকে আবারও পাঠানো হয় কমিশনে। আগামী জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব পাবে ঢাকা ওয়াসা।

এ প্রসঙ্গে সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান বলেন, প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছিলাম, তাতে কিছু কাগজপত্র ঘাটতি ছিল। সেই কাগজপত্রগুলো চাওয়া হয়েছে। এর মধ্যেই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করে আবারও পাঠানো হয়েছে। আশা করছি, একনেকের আগামী বৈঠকেই প্রকল্পটির অনুমোদন হয়ে যাবে।

কমিশন সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পের আওতায় ১টি পাম্প স্টেশন নির্মাণ, দশমিক ২০ একর জমি অধিগ্রহণ, পাইপ ড্রেন নির্মাণ ৫ কিলোমিটার, সীমানা প্রাচীর নির্মাণ ১১ কিলোমিটার, আরসিসি রাস্তা নির্মাণ আড়াই কিলোমিটার, রিটেইলিং ওয়াল নির্মাণ দশমিক ৫০ কিলোমিটার, রেগুলেটিং পন্ড পুনঃখননের কাজ ৮ লাখ ২৮ হাজার ৩৮৩ ঘনমিটার ও রাস্তা কাটার কাজ ৫ কিলোমিটার।

এমএ/ওআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।