হারিয়ে যাওয়া তিন শিশুকে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিলো পুলিশ
পৃথক তিন স্থানে হারিয়ে যাওয়ার পর পুলিশের সহযোগিতায় জয়নব, নাজমিন, মোছা. শাহিনুর ও রোকসানা নামে চার শিশুর জায়গা হয় ঢাকা মহানগর পুলিশের পুলিশের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে।
ওদের কারোর বয়স আট, কারোর সাত কারোর বা তের। কেউ নিজের নাম বলতে পারলেও কেউ পারে না। কেউ বা আবার বাক প্রতিবন্ধী।
এরপর পুলিশ নেটওয়ার্ক ও স্থানীয় প্রতিনিধিদের সহযোগিতায় চার শিশুর মধ্যে তিন শিশু ফিরে পেয়েছ মায়ের কোল।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে রোকসানা বাদে বাকি তিনজন এখন তার বাবা মায়ের কোলে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ জানায়, গত ১১ মার্চ সকাল ৮ টায় শাহআলী থানার নিউ ব্লকের মসজিদুল মোকারমের সামনে কান্নারত অবস্থায় পাওয়া যায় আট বছরের জয়নবকে। সে তার নাম বলতে পারলেও বাবা-মা বা ঠিকানা বলতে পারত না। পরে তার স্থান হয় তেজগাঁওয়ের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে।
এরপর গত ২৩ মার্চ সন্ধ্যায় খিলগাঁও ২নং কাউন্সিলর অফিসের নিকট থেকে পাওয়া যায় নাজমিন নামের তের বছরের এক শিশুকে। সেও তার সঠিক ঠিকানা বলতে পারছিলো না। পরে তার স্থান হয় ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে।
পরদিন ২৪ মার্চ সন্ধ্যা ৬ টায় শাহআলীর ব্লক এ ৭ নং রোড এর মাথায় কান্নারত অবস্থায় পাওয়া যায় মোছা. শাহিনুর নামের আট বছরের শিশুটিকে। পরে স্থানীয় একজনের সহায়তায় প্রথমে শাহআলী থানায় ও পরে তাকেও ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে নেয়া হয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ) সুমন কান্তি চৌধুরী জাগো নিউজকে জানান, হারিয়ে যাওয়া এই তিনজনসহ আঠার বছরের এক বাক প্রতিবন্ধী মেয়ের প্রাপ্তি সংবাদ ২৭ মার্চ প্রকাশ করা হয় ডিএমপি নিউজ এর অনলাইন পোর্টালে।
তারপর সেখান শেয়ার করা হয় ঢাকা মহানগর পুলিশের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে। তারপর একে একে শত শত ফেসবুক পেজে।
৩০ মার্চ বাংলাদেশ পুলিশ নেটওয়ার্কের ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় হারানো জয়নব (০৮), নাজমিন (১৩) ও মোছা. শাহিনুর (০৮) কে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
জেইউ/এসএইচএস/জেআইএম