রাজউকের ফ্ল্যাট : বসবাসযোগ্য না করেই হস্তান্তরের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:২৯ পিএম, ৩০ মার্চ ২০১৮

রাজউক উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্পের ফ্ল্যাট বসবাসের উপযোগী না করেই হস্তান্তর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বরাদ্দপ্রাপ্ত ফ্লাট মালিকরা।

শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ রাজউক উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট মালিক কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে এ অভিযোগ করা হয়েছে।

রাজউক উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট মালিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি হামিদুর রহমান বলেন, প্রকল্পভুক্ত কোনো ফ্ল্যাটই এখন পর্যন্ত পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাসের উপযোগী নয়। কোনো বিবেচনায়ই প্রকল্প এলাকা আবাসন উপযোগী হয়ে ওঠেনি। বহুতল বিশিষ্ট ভবনে বসবাসের জন্য সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি, লিফট, সোয়ারেজ লাইন, রাস্তা, নিরাপত্তা, যাতায়াত ব্যবস্থা, নূন্যতম বাজার সুবিধা, অস্থায়ী উপসানালয়, চিকিৎসা ও শিক্ষা সুবিধাসহ কোনো সুবিধাই সৃষ্টি করা হয়নি।

তিনি বলেন, নিরুপায় হয়ে যে ২ জন ফ্ল্যাটে উঠেছেন তারা চরম নিরাপত্তাহীনতাসহ নানাবিধ ভোগান্তিতে বসবাস করছেন। এ কারণে ইতোমধ্যে ১ জন ফ্ল্যাট ছেড়ে চলেও গেছেন।

সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয়, সম্প্রসারিত উত্তরা প্রকল্প (৩য় পর্ব) ১৮ নং সেক্টরের 'এ' ব্লকে ৮৪টি ১৬তলা ভবন নির্মাণ করে ৩৭০ বর্গফুট কমন স্পেসসহ ১২৫০ বর্গফুট আয়তনের ৬৬০০ ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেয়ার লক্ষ্যে 'উত্তরা রাজউক অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। প্রতি বর্গফুটের মূল্য ৩৫০০ টাকা হিসেবে প্রতিটি ফ্ল্যাটের মূল্যে ধার্য করা হয় ৫৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা। আবেদনের শর্তানুযায়ী প্রতিটি ফ্ল্যাটের জন্য তিন লাখ টাকা জামানত এবং প্রতি কিস্তিতে ৬ লাখ ৭১ হাজার ২৫০ টাকা হিসেবে সর্বমোট ৮ কিস্তিতে পরিশোধযোগ্য নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে প্রথম কিস্তি জমা দিয়ে ফ্ল্যাট বরাদ্দের জন্য আবেদন করতে বলা হয়। ২০১৮ সালের ৭ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত লটারির মাধ্যমে বরাদ্দপ্রাপ্ত ২ হাজার ৬২১ জনকে আগামী ৩১ মে ৫ লাখ টাকা জমা দিয়ে ফ্ল্যাটের চাবি বুঝে নেয়ার জন্য পত্র জারি করা হয়।

এ সময় সমিতির পক্ষ থেকে বসবাস উপযোগী ফ্ল্যাট বিষয়ক দাবিগুলোর পাশাপাশি উত্তরা ১৮ নম্বর সেক্টর থেকে মিরপুর ১১ নম্বর বরাবর রাস্তার নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ করার দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে প্রকল্প এলাকায় বসবাসের আনুসঙ্গিক সুবিধা সৃষ্টির দাবিগুলো আগামী ২০ এপ্রিলের মধ্যে বাস্তবায়ন না হলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানবন্ধন কর্মসূচি, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী বরাবর স্বারকলিপি এবং ১০ মে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্বারকলিপি দেয়া হবে বলে সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়।

এ সময় সমিতির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামসহ ফ্ল্যাট বরাদ্দপ্রাপ্ত অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এএস/এমএমজেড/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।