বদলে যাচ্ছে উত্তর সিটির পার্ক-মাঠগুলো
মেগাসিটি ঢাকার জনসংখ্যা দুই কোটি ছুঁই ছুঁই। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ শহরে জনসংখ্যা, আকাশচুম্বি ভবন যেমন বাড়ছে সেই সঙ্গে কমছে চারপাশের সবুজ। আধুনিক নগর জীবনে পার্ক ও মাঠকে বলা হয় ‘নগরের ফুসফুস’। কিন্তু রাজধানীতে পর্যাপ্ত পরিচ্ছন্ন পার্ক বা খেলার মাঠের বড়ই অভাব।
যে কারণে রাজধানীর শিশু-কিশোররা আবদ্ধ হয়ে পড়ছে শিক্ষালয় ও বাসার চার দেয়ালের মধ্যে। নাগরিক কোলাহল আর যাপিত জীবনের নাভিশ্বাস নিয়ে রাজধানীর মানুষের জন্য নেই মনোরম পার্ক। বিশুদ্ধ বাতাসের বড়ই অভাব।
নাগরিকদের এমন অসুবিধার কথা মাথায় রেখে আধুনিকায়ন, উন্নয়ন ও সবুজায়ন প্রকল্পে সংস্কার করা হচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) পার্ক ও খেলার মাঠগুলো।
এসব মাঠ-পার্কে থাকবে হাঁটার জন্য ওয়াকওয়ে, সাইকেল ট্রেক, ফোয়ারা নির্মাণ, শিশু খেলনা স্থাপন, শরীর-চর্চার জন্য যন্ত্রপাতি, মহিলাদের বসার স্থান, বয়স্কদের খেলাধুলাসহ বিনোদনের ব্যবস্থা, সন্ধ্যার পর যাতায়াতের জন্য পার্কের ভেতর থাকবে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা। সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ বাড়াতে পার্ক ও মাঠের সীমানা দেয়াল থাকবে না।
এছাড়া পর্যাপ্ত নিরাপত্তারক্ষীও রাখা হবে প্রতিটি পার্ক ও খেলার মাঠে। পার্কগুলোতে থাকবে সবুজের সমাহার, গাছ রোপণসহ পানি নিষ্কাশন, উন্নত টয়লেট স্থাপন ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা।
এসব ২৬টি পার্ক ও খেলার মাঠের মধ্যে ছয়টি পার্ক ও মাঠের সংস্কার কাজ শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে (ডিএনসিসি)। বেশ কয়েকটি পার্কের টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। আরও কয়েকটি প্রক্রিয়াধীন আছে। মাঠ- পার্কগুলোর কাজ শেষ হলে সেখানে থাকবে ক্যান্টিন। পর্যাপ্ত ঘাস, শরীর চর্চার জন্য ব্যায়ামাগার, প্রতিবন্ধীদের চলাচলের জন্য আলাদা ব্যবস্থা। সেই সঙ্গে আধুনিক ড্রেনেজ সিস্টেম।
প্রায় ২৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে এসব পার্ক ও মাঠের সংস্কার ২০২০ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রকল্পের কার্যক্রম ইতোমধ্যে কয়েকটি পার্ক ও মাঠে শুরু হয়েছে। এছাড়া উত্তর সিটি কর্পোরেশনের পার্ক-মাঠগুলোর বেশিরভাগই সংস্কারের মধ্যে আনা হবে বলে জানা গেছে।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী তারিক বিন ইউসুফ জাগো নিউজকে বলেন, প্রায় ২৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পের কাজ ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। ২০২০ সালের জুনের মধ্যে কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে শিশুদের মানসিক বিকাশের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
এএস/এমআরএম/জেআইএম