‘হলি আর্টিজান ঘটনার পর আমরা ঘাবড়ে গিয়েছিলাম’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:০৯ পিএম, ২৫ মার্চ ২০১৮

বাংলাদেশ জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দাবি করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, কোনো ধর্মই মানুষ হত্যায় বিশ্বাস করে না। এখন দেশের মানুষ এক সুরে এক কথা বলছে, তা হলো বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদের কোনো স্থান নেই।

‘ঢাকায় হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ব্যক্তিবর্গের পরিজনকে সমবেদনা জ্ঞাপন’ উপলক্ষে রোববার দুপুরে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

home-ministar

হলি আর্টিজান হামলাকে বাংলাদেশের জন্য টার্নিং পয়েন্ট ছিল উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ওই ঘটনার পর আমরা অনেকটা ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। তবে আমরা খুব দ্রুতই রিকভার করেছি। প্রধানমন্ত্রীর সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ বিরোধী জিরো টলারেন্স নীতিতে যে যার জায়গা থেকে সহযোগিতা করেছে। সন্ত্রাসীদের নির্মূল করা গেছে। ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ।

home-ministar

তিনি বলেন, ‘আমাদের পুলিশ ও র‌্যাব বাহিনী হলি আর্টিজান হামলার পর একে একে জঙ্গি সন্ত্রাসীদের আস্তানা গুঁড়িয়ে দিয়েছে। অভিযানে ভেঙে গেছে তাদের নেটওয়ার্ক। জঙ্গিরা কার্যত : পঙ্গু হয়ে গেছে। বাংলাদেশ থেমে নেই। জঙ্গি-সন্ত্রাসী বিরোধী লড়াই আমাদের অব্যাহত রয়েছে। আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী আরও অনেক বেশি সক্ষমতা অর্জন করেছে।

home-ministar

পুলিশ ও র‌্যাবের অভিযানে নিহত জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের পরিবার মরদেহ নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। আমরা লাশ রেখে দিয়েছিলাম। দেখতে চেয়েছিলাম কারা মরদেহ নিতে আসে। কিন্তু কেউ আসেনি। তারা বরং বিপথগামী পরিবারের সদস্যের কারণে জাতির কাছে দুঃখপ্রকাশ করেছে।

home-ministar

আমরা হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে সন্ত্রাসী হামলায় দেশি-বিদেশি ইনোসেন্ট হারিয়েছি তাদের কে তো আর ফিরে পাওয়া যাবে না। কিন্তু তাদের আমরা স্মরণ করতে পারি। পরিবার-পরিজনদের সমবেদনা জ্ঞাপন করতে পারি।

home-ministar

অনুষ্ঠানে ডিএমপি’র কাউন্টার টেররিজমের প্রধান ও অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম ও র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান জঙ্গি ও সন্ত্রাস বিরোধী কার্যক্রমে তাদের ভূমিকা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন।

home-ministar

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ ও সুরক্ষা বিভাগের দুই অতিরিক্ত সচিব, বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) জাভেদ পাটোয়ারী, অতিরিক্ত আইজিপি মোখলেছুর রহমান, র‌্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া, জাতিসংঘের বিশেষ দূত ও জাপানি রাষ্ট্রদূতসহ নিহতদের স্বজন-পরিজনরা উপস্থিত ছিলেন।

হলি আর্টিজানে নিহত ফারাজ আহমেদ, অবিন্তা কবির, তারিশি জৈন, ইশরাত জাহান আকন্দের পরিবারকে সমবেদনা স্মারক প্রদান করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

জেইউ/জেএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।