সর্বস্তরের নাগরিকদের ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত শেখ হাসিনা

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৬:০৭ পিএম, ২২ মার্চ ২০১৮

বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের উদযাপনের অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। এতে সর্বস্তরের নাগরিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এসময় তিনি সেখানে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব কাজী শফিকুল আজম।

hasina

অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মো. সরোয়ার হোসেন। স্পিকারের পক্ষ থেকে আবদুর রাজ্জাক, মাহবুব আরা গিনি, রফিকুল ইসলাম, প্রধান বিচারপতির পক্ষ থেকে হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার গোলাম রব্বানী, মন্ত্রিসভার পক্ষ থেকে অর্থমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পরিকল্পনামন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।

বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদও শুভেচ্ছা জানান। ১৪ দলের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, সজামকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, মন্ত্রিপরিষদের পক্ষ থেকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব শুভেচ্ছা জানান।

hasina

এরপর সেনা, বিমান, নৌবাহিনীর প্রধানরা ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। পুলিশের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপি জাভেদ পাটোয়ারী।

শিক্ষাবিদদের পক্ষ থেকে আনিুজ্জামান, রফিকুল ইসলাম, ফারজানা ইসলাম। ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বিজিএমইএর সভাপতি সিদ্দিকুল ইসলাম। সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহম্মদ শফিকুর রহমান।

hasina

কবি ও সাহিত্যিকদের পক্ষ থেকে শামসুজ্জামান খান ও সেলিনা হোসেন, শিল্পী সমাজের পক্ষ থেকে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, আবুল হাশেম খান, আতাউর রহমান, পেশাজীবীদের পক্ষ থেকে মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, মহিলা সংগঠনের পক্ষ থেকে তানিয়া বেগম, অ্যারোমা দত্ত, সুরাইয়া বেগম, এনজিও প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, বেগম রোকেয়া, মহসিন আলী। ক্রীড়াবিদ মাশরাফি বিন মর্তুজা, সাকিব আল হাসান, মারিয়া আক্তার সীমান্ত শুভেচ্ছা জানান।

এছাড়া শ্রমজীবীদের পক্ষ থেকে মোর্শেদা মধুসুধন সরকার, আবদুর রাজ্জাক, একজন পোশাক শ্রমিক, একজন রিকশাচালক প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।

hasina

অপরদিকে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, বিশ্বব্যাংক প্রধান, এডিবি প্রধান, জাইকার সনিচি কিতাওকা, ইউএসএআইডির মার্ক গ্রিন ভিডিওবার্তা পাঠিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করেছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করে তারা তাকে শুভেচ্ছা জানান। অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক নেতা, মন্ত্রিসভার সদস্য, সরকারি কর্মকর্তা, বিদেশি সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার থেকে আগামী ২৮ মার্চ পর্যন্ত সারাদেশে আনন্দ র্যালি করা হবে। এসব র্যালির মাধ্যমে সরকারের সাফল্য তুলে ধরা হবে। এলডিসি থেকে উত্তরণে দেশের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ বিষয়ে শুক্রবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) একটি আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

hasina

সভাপতির বক্তব্যের আগে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে একটি প্রামাণ্যচিত্র পরিবেশন করা হয়। এরপর স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়ার জন্য জাতিসংঘের দেয়া সুপারিশপত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। পরে একটি স্মারক ডাক টিকিট ও ৭০ টাকার স্মারক মুদ্রা উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এফএইচএস/জেডএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।