শুভ্র মেঘ ছুয়ে নেমে এল মৃত্যুদূত

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:০৩ এএম, ১৩ মার্চ ২০১৮

অন্য আরও ১০টি দিনের মতোই স্বাভাবিকভাবে উড্ডয়ন করেছিল বিমানটি। ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উঠে যায় শুন্যে। যাত্রার সময় ছিল মোটামুটি ১ ঘণ্টা ৫১ মিনিট।

বিমানটিতে যারা ছিলেন তাদের কেউ কেউ যাচ্ছিলেন ছুটি কাটাতে, কেউ বিবাহবার্ষিকী উদযাপনে। যাত্রা শুরুর আগে কেউ কি একবারও ভেবেছিলেন কী ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে তাদের জন্য।

একটু একটু করে বিমানটি যখন হাজার ফিট উচ্চতা অতিক্রম করে মেঘের দেশে উড়াল দিচ্ছিল, শুভ্র মেঘের পাশে কাঁচের জানালায় বসে এই যাত্রীদেরই কেউ হয়তো বিস্ময়ে দেখছিলেন নিষ্পাপ মেঘগুলোর উড়ে যাওয়া।

মাটি থেকে অনেক উঁচুতে উঠে কেউ পেছনে ফেলে যাচ্ছিলেন নিজের দেশের মাটি, কেউ আবার যাচ্ছিলেন নিজের দেশে।

যাত্রাপথ পুরোটা শেষ হয়েও এসেছিল। বাকি ছিল কেবল ল্যান্ডিং। সেটাতেই বিপত্তি।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিধ্বস্ত বিমানের পাইলটকে বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম থেকে অবতরণের ভুল নির্দেশনা দেয়া হয় বলে আভাস মিলেছে।বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার আগ মুহূর্তে বিমানের পাইলটের সঙ্গে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমের সর্বশেষ কথোপকথনে এই আভাস পাওয়া গেছে।

আর তাতেই সর্বনাশ। রানওয়ে থেকে ছিটকে গেল বিমানটি। ঝরে গেল ৫০টি তাজা প্রাণ। বিধ্বস্ত হয়ে বিমানটিতে আগুন ধরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুড়েছে তাদের ঘিরে থাকা অসংখ্য স্বপ্নও।

শুভ্র মেঘ ছুয়ে যে বিমানটি অবতরণ করতে চেয়েছিল কাঠমান্ডুর ত্রিভূবন ইন্টারন্যাশনাল বিমানবন্দরে, সে বিমানটিরই শোকের কালো ছায়া নিয়ে নেমে এল।

এনএফ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।