হতাহতের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হবে : ইউএস-বাংলা
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (টিআইএ) ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের যাত্রীবাহী একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। সোমবার নেপালের স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে।
বিমান বিধ্বস্তের পর ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জিএম, মার্কেটিং সাপোর্ট অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন) কামরুল ইসলাম বলেন, ক্যাপ্টেন লুৎফরসহ আরও একজন নেপালের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। তারা দুর্ঘটনার বিষয়ের ওপর খোঁজ-খবর নিয়ে আমাদের জানাবেন। এরপর সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি জানানো হবে।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স কার্যালয়ে সোমবার বিকেলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, সাড়ে তিন বছরে আমরা ৩৬ হাজার ফ্লাইট পরিচালনা করেছি। আগে কখনও এমনটি হয়নি। তবে এ বিষয়ে নেপালের সিভিল এভিয়েশন এবং দুর্ঘটনায় পতিত বিমানের ব্লাক বক্স উদ্ধারের পর জানা যাবে।
‘আমাদের ধারণা এটি একটি দুর্ঘটনা’- বলেন তিনি।
দুর্ঘটনার পতিত বিমানে বাংলাদেশি ৩২, নেপালি ৩৩, চাইনিজ ও মালদ্বীপের এক যাত্রী ছিলেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তবে এর আগে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইমরান আসিফ বিমানটিতে ৩৩ বাংলাদেশি যাত্রীর কথা উল্লেখ করেন।
নেপালের স্থানীয় দৈনিক দ্য হিমালয় টাইমস বলছে, বিমান বিধ্বস্তের এ ঘটনায় প্রাণহানির শঙ্কা প্রকাশ করেছে টিআইএ।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, ৭৮ যাত্রীবাহী পুড়ে যাওয়া বিমানটির ৫০ যাত্রীর ভাগ্যে কী ঘটেছে তা এখনো জানা যায়নি।
নেপালের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব সুরেশ আচার্য বলেছেন, বিধ্বস্ত বিমানের ভেতর থেকে ১৭ যাত্রীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মুখপাত্র প্রেম নাথ ঠাকুর বলেছেন, রানওয়েতে অবতরণের চেষ্টার সময় বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। পরে বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
ইউএস-বাংলার এস২-এজিইউ বিমানটি ঢাকা থেকে উড্ডয়নের পর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুপুর ২টা ২০ মিনিটে পৌঁছায়।
নেপাল সেনাবাহিনী ও উদ্ধারকারী টিমের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
এআর/এমএআর/এমএস