রাজধানীতে পাঁচ দিনব্যাপী পুষ্টিবিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন
সমন্বিত কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ প্রকল্পের (বারটান অঙ্গ) আওতায় বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (বারটান) উদ্যোগে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ৩০ জন কর্মকর্তাদের ১৮তম প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও বারটানের নির্বাহী পরিচালক মো. মোশারফ হোসেনের সভাপতিত্বে শনিবার সকাল ১০টায় রাজধানীর সেচ ভবনে বারটানের প্রধান কার্যালয়ে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত পাঁচ দিনে মোট পঁচিশটি প্রশিক্ষণ ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন- কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পিপিসি) মো. নজমুল ইসলাম এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. মো. কবির ইকরামুল হক এবং বারটানের পরিচালক, যুগ্ম-সচিব কাজী আবুল কালাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বারটানের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ জ্যোতিলাল বড়ুয়া।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বারটানের পরিচালক, যুগ্ম-সচিব কাজী আবুল কালাম বলেন, ‘সুষম খাদ্য সম্পর্কে মানুষের সচেতনতা কম থাকায় জন্মের সময় নবজাতক কম ওজনের হয়, খর্বাকৃতির হয়। সেই সঙ্গে মাতৃ-মৃত্যুহার, শিশু-মৃত্যুহার বাড়ে ও আমাদের স্বাভাবিক বুদ্ধির বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। বারটান থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে নিজ নিজ কর্মস্থলে জনসাধারণকে পুষ্টি বিষয়ে সচেতন করে গড়ে তুলতে এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি মনে করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পিপিসি) নজমুল ইসলাম বলেন, পুষ্টিহীনতায় ভুগলে আমরা সুদক্ষ ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ সম্পন্ন জাতি পাব না। সরকার সে উপলব্ধি থেকে দেশে পুষ্টি নিয়ে গবেষণা ও জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে নানামুখী কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
সভাপতির বক্তব্যে বারটানের নির্বাহী পরিচালক ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মোশারফ হোসেন বলেন, ‘বর্তমান সরকার দেশে পুষ্টি নিয়ে উন্নতর গবেষণা ও জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। আমাদের সুস্থ ও সবলভাবে বাঁচতে হলে পুষ্টি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি পুষ্টি বিষয়ক গবেষণাকে বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (বারটান) মাধ্যমে সম্প্রসারণ করতে হবে।
এমআরএম/জেআইএম