খুলনার ৪ উপজেলায় তথ্য সংগ্রহ শনিবার থেকে শুরু


প্রকাশিত: ০৯:১৯ এএম, ২৪ জুলাই ২০১৫

খুলনায় ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে। প্রথম দফায় ডুমুরিয়া, বটিয়াঘাটা, তেরখাদা ও রূপসা উপজেলায় তথ্য সংগ্রহ শুরু হবে। পরবর্তীতে দুটি ধাপে বাকি উপজেলা ও মহানগরীর ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হবে। এবার আগামী ৩ বছরের মধ্যে যারা নতুন ভোটার হবেন তাদের তথ্য একবারে সংগ্রহ করা হবে।

অর্থাৎ ১৫ বছর বয়সের কিশোর, ২০০০ সালের ১ জানুয়ারির আগে যাদের জন্ম তাদেরও তথ্য সংগ্রহ করা হবে। পর্যায়ক্রমে ২০১৬, ২০১৭ এবং ২০১৮ সালের ভোটার তালিকা তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এজন্য ৩৪০ জন তথ্য সংগ্রহকারী নিয়োগ করা হয়েছে। তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে নতুন ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ করবেন।

জেলা নির্বাচন অফিস থেকে জানা গেছে, চলমান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আগামীকাল শনিবার থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। আগামী ৩ বছরের তথ্য নেয়া হলেও চলতি বছর যাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হচ্ছে অর্থাৎ ১৯৯৮ সালের ১ জানুয়ারির আগে যাদের জন্ম তাদের ভোটার করা হবে। সেই সঙ্গে যেসব ভোটার মারা গেছেন তাদের নাম বাদ দেয়া এবং যারা অন্য এলাকায় স্থানান্তর হয়েছেন তাদের নাম পুনর্বিন্যাস করা হবে। আগামী বছরের ১ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। হালনাগাদের সময় পুরাতন ভোটারের নাম বা বানান ভুল সংশোধনের সুযোগ নেই।

সূত্রটি জানায়, প্রথম পর্যায়ে ২৫ জুলাই শনিবার থেকে আগামী ৯ আগস্ট পর্যন্ত ডুমুরিয়া, বটিয়াঘাটা, তেরখাদা ও রূপসা উপজেলার তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এর মধ্যে যাদের বয়স জানুয়ারিতে ১৮ বছর পূর্ণ হচ্ছে তাদের ছবি তোলার কাজ শুরু হবে ১১ আগস্ট থেকে, চলবে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। বাকিদের ছবি তোলা হবে ২২ অক্টোবর থেকে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

দ্বিতীয় ধাপে দিঘলিয়া, ফুলতলা, পাইকগাছা ও দাকোপ উপজেলার নতুন ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে ১৬ আগস্ট থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত। ১৮ বছর বয়সীদের ছবি তোলা হবে ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। বাকিদের ছবি তোলা হবে ৪ ডিসেম্বর থেকে ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত। শেষ ধাপে খুলনা সিটি কর্পোরেশন এলাকা ও কয়রা উপজেলার তথ্য সংগ্রহ করা হবে। ৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম চলবে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ছবি তোলা হবে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত।

খুলনার সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান জাগাে নিউজকে জানান, ভোটার তালিকা আইনেই প্রতিবছর ২ জানুয়ারির মধ্যে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এজন্য নতুন ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ শুরু হচ্ছে। প্রতিবছর একই কাজ করতে বিপুল অর্থ ব্যয় এবং জনবল ব্যয় হওয়ায় এবার একসঙ্গে ৩ বছরের তথ্য সংগ্রহ করা হবে।  ২০০০ সালের ১ জানুয়ারির আগে যাদের জন্ম অর্থাৎ যাদের বয়স ১৫ বছর পূর্ণ হয়েছে তাদের তথ্য নেয়া হবে।

তিনি বলেন, তথ্য সংগ্রহ করলেও সবাই এখন ভোটার হবেন না। শুধুমাত্র যাদের বয়স পহেলা জানুয়ারি ১৮ পূর্ণ হচ্ছে তারাই এবছর ভোটার হবেন। বয়স অনুযায়ী বাকিদের ২০১৭ ও ২০১৮ সালে ভোটার তালিকায় তাদের নাম প্রকাশ করা হবে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের সময় কেউ না থাকলে তার নামও তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে দিতে হবে। পরে তিনি নির্বাচন অফিসে গিয়ে ভোটার হবেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনো এলাকায় তথ্য সংগ্রহকারীরা না গেলে জেলা নির্বাচন অফিসে জানাতে হবে। প্রয়োজনে সময় বাড়ানো বা কমানো হবে।

আলমগীর হান্নান/এমজেড/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।