ঈদের ছুটি শেষ : কমলাপুরে মানুষের উপচেপড়া ভীড়


প্রকাশিত: ০৬:৪৮ এএম, ২৪ জুলাই ২০১৫

প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের সুখ স্মৃতি কাটিয়ে আবারও রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। কেউ কর্মস্থলে যোগ দিতে আবার কারো ক্লাশ পরীক্ষা আবার কারও বা জীবন সংগ্রাম শুরুর হাতছানি। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা এমন মানুষে উপচেপড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে কমলাপুর রেল স্টেশনে।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কমলাপুর রেলস্টেশনে দেখা গেছে, ঈদ শেষে রাজধানীতে ফিরছে অসংখ্য মানুষ। তারা জানান ফিরতে ইচ্ছে না করলেও, জীবিকার জন্য কিংবা জীবন সংগ্রামের কারণে ফিরতে হচ্ছে। আবার অনেকে ফিরছে স্কুল-কলেজের ছুটি নেই বলে।
ট্রেনে চড়ে রাজধানীতে ফেরা মানুষের জনসমাগমের প্রভাবও পড়েছে কমলাপুর ও এর আশপাশ এলাকায়। কয়েক দিনের দফায় দফায় ভারী বৃষ্টিও এতো বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে নি। ঢাকা যেন ফিরছে তার পুরনো চেহারায়।

সরকারি ছুটি শেষে সরকারি চাকুরিজীবীদের অনেকেই আগেভাগে ঢাকায় আসলেও এখন ফিরছেন মূলত: বেসরকারি চাকুরিজীবি, গার্মেন্টস কর্মী, স্কুল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা।

সকাল থেকেই চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর ও জামালপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রেন কমলাপুরে এসে পৌঁছেছে। ফেরার পথে নির্দিষ্ট স্টেশন থেকে সময়মত ট্রেন ছেড়েছে বলেও জানান যাত্রীরা। যদিও ঈদের আগে ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় ঘটেছিল। নাড়ীর বাঁধন ছিড়ে আবার কর্ম চঞ্চল নগরীতে ফিরে আসতে বিষাদে মন ঘন হয়ে উঠলেও কিছু করার নেই।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমন জানান, আসার কথা ছিল ২২ তারিখ। কিন্তু বাসে টিকিট না পেয়ে ট্রেনেই ছিল ভরসা। যদিও ট্রেনেরও টিকিট মেলেনি তবে কষ্ট করে হলেও রাজধানীতে ফিরতে পেরেছেন তিনি। গাইবান্ধা থেকে লালমনি এক্সপ্রেসে দীর্ঘ পথটা পাড়িয়ে দিয়ে আসায় বেশ ক্লান্তিও ফুটে উঠেছে তার চোখেমুখে।
 
রাজশাহী থেকে ঢাকায় ফিরে আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিজান জানান, ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় না থাকয় স্বস্তিতেই ফিরতে পেরেছেন। তবে পড়াশুনার তাগিদে রাজধানীতে ফিরলেও মন পড়ে আছে গ্রামের বাড়িতেই। প্রিয়জনদের সঙ্গে কাটানো সুখ স্মৃতিগুলো পড়াশুনায় অনুপ্রেরণা হিসেবেই কাজে লাগাতে চান তিনি।

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী জাগো নিউজকে বলেন, ঈদের ছুটি শেষে রাজধানীতে ফেরত আসা মানুষরা যেন ট্রেনের সিডিউল বিড়ম্বনায় না পড়ে সেজন্য সম্ভাব্য সব ধরণের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সেকারণে এখন পর্যন্ত সময় মতোই ট্রেন আসছে এবং যাচ্ছে। মানুষও স্বস্তিতে ফিরছে।

জেইউ/এএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।