মশক নিধনে ডিএনসিসির বিশেষ ক্র্যাশ প্রোগ্রাম উদ্বোধন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:৪৭ পিএম, ০৬ মার্চ ২০১৮

নগর ভবন থেকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ডিএনসিসি) বিশেষ মশক নিধন ক্র্যাশ প্রোগ্রামের উদ্বোধন করেন প্যানেল মেয়র মো. ওসমান গণি।

মঙ্গলবার বিকেলে ডিএনসিসির গুলশান নগর ভবনের সামনে থেকে এ প্রোগ্রামের উদ্বোধন করা হয়। ডিএনসিসির অঞ্চল-৩ এর অধীন সমগ্র এলাকায় মশার ওষুধ ছিটানোর জন্য এ ক্র্যাশ প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়।

মশক নিধনের বিশেষ এ ক্র্যাশ প্রোগ্রামে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্যানেল মেয়র সদস্য আলেয়া সারোয়ার ডেইজী, ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাউন্সিলর মো. মফিজুর রহমান, মো. নাসির, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেসবাহুল ইসলাম ও বিভিন্ন সোসাইটির নেতারা।

ক্র্যাশ প্রোগ্রাম উদ্বোধনের আগে মশক নিধনে ডিএনসিসির কার্যক্রম সম্পর্কে লিখিতভাবে জানানো হয়। সেখানে উল্লেখ আছে:

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন ৩৬টি ওয়ার্ডে পরিচালিত মশক নিধন কার্যক্রমের মধ্যে আছে লার্ভিসাইডিং : হস্তচালিত এবং হুইল ব্যারো মেশিনের সাহায্যে সরকারি ছুটি ব্যতীত প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ডোবা নালা, জলাশয় ও অন্যান্য মশার প্রজননস্থলে লার্ভিসাইডিং করা হয়। লার্ভিসাইডিং কাজে ব্যবহৃত কীটনাশক লার্ভিসাইড ও ম্যালেরিয়া ওয়েল ‘বি’ (কালো তেল)।

উড়ন্ত মশক নিধন কার্যক্রম : সরকারি ছুটির ব্যতীত প্রতিদিন সূর্যাস্তের এক ঘণ্টা আগ থেকে সূর্যাস্তের এক ঘণ্টা পর পর্যন্ত প্রতিটি ওয়ার্ডে কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী ফগার মেশিনের সাহায্যে উড়ন্ত মশা নিধন করা হচ্ছে।

মশক নিধন বিশেষ ক্রাশ প্রোগ্রাম : ২০১৭-১৮ অর্থবছরে মশক নিধন কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে চারটি ক্র্যাশ প্রোগ্রাম পরিচালনা করা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতে মশার বৃদ্ধির জন্য ১২-২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মশক নিধন ক্র্যাশ প্রোগ্রাম পরিচালনা করা হয়। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি চলমান ক্র্যাশ প্রোগ্রাম পর্যালোচনার জন্য প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সভাপতিত্বে সম্মানিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর, সব বিভাগীয় প্রধান, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিভিন্ন কল্যাণ সমিতির প্রতিনিধির সমন্বয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় চলমান ক্র্যাশ প্রোগ্রাম ১৫ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয় এবং বিভিন্ন অঞ্চলে প্রয়োজনে দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে শ্রমিক নিয়োগের মাধ্যমে কার্যক্রম জোরদারের সিদ্ধান্ত হয়।

এছাড়া প্রতিটি অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাকে সংশ্লিষ্ট এলাকার কল্যাণ সমিতির নেতৃবৃন্দ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা এবং বিভিন্ন ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে আলোচনা সভা করে কার্যক্রম জোরদারের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

বর্তমান পরিস্থিতি মশক নিধন কার্যক্রম আরও জোরদার ও দৃশ্যমানের জন্য গত ৪ মার্চ থেকে প্রতিটি অঞ্চলে অতিরিক্ত ১০টি পিকআপ এর মাধ্যমে ফগার মেশিনদ্বারা মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ক্র্যাশ প্রোগ্রাম চলাকালীন সময় প্রতিটি মেশিনদ্বারা দ্বিগুণ পরিমাণ কীটনাশক ব্যবহার করা হয় (লার্ভিসাইড ও এডাল্টসাইড)।

মশক নিধন কাজে নিয়োজিত জনবল ও যন্ত্রপাতি : ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মশক নিধনকর্মী ২৮১ জন; হস্তচালিত মেশিন সংখ্যা ৩১৬ টি; ফগার মেশিন সংখ্যা ২৩৯ টি; হুইল ব্যারো মেশিন সংখ্যা ১০ টি। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় মশার প্রজননস্থল হিসেবে চিহ্নিত ২১৫৩ বিঘা ডোবা/জলাশয়ের কচুরিপানা ও ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করা হয়েছে।

এএস/জেএইচ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।